এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দুর্নীতি বন্ধ করতে নয়া পদক্ষেপ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের! অভিষেক দিলেন কড়া নির্দেশ!

দুর্নীতি বন্ধ করতে নয়া পদক্ষেপ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের! অভিষেক দিলেন কড়া নির্দেশ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কথায় আছে, ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। রাজ্যের দুর্নীতিমুক্ত সরকার গঠন করা হবে বলে 2011 সালে ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন সময়ে মানুষকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে তৃণমূলের নানা নেতার দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে।

কালের নিয়মে সেই সমস্ত কিছু ভুলে গেলেও, বর্তমান দুর্যোগের সময় তৃণমূলের নানা জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। যেখানে ভয়াবহ দূর্যোগে ত্রান দেওয়া থেকে শুরু করে রেশন ব্যবস্থা, প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে চাপে রেখেছে বিরোধীরা। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধিকে বাসিন্দাদের হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে যাতে দুর্নীতিতে বিদ্ধ হয়ে দলকে অস্বস্তিতে পড়তে না হয়, তার জন্য এবার জেলা নেতাদের কড়া বার্তা দিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত জেলার দলীয় সভাপতির সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সি, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় যুব তৃনমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।জানা গেছে, এই বৈঠকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিটি জেলা সভাপতিদের কার্যত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনো নেতার বিরুদ্ধে যদি কোনো দুর্নীতির অভিযোগ আসে, তাহলেই যেন তাকে শোকজ করা হয়। এমনকি এই ব্যাপারে অভিযুক্ত নেতাকে 48 ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে জেলা নেতৃত্ব যদি সেই নেতার সংশ্লিষ্ট জবাবে সন্তুষ্ট না হন, তাহলে তা শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির কাছে পাঠানোর ব্যাপারে বলা হয়েছে। অর্থাৎ তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জেলা নেতৃত্বর কাছে এই নির্দেশ পাঠানোর পরেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্যোগে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তৃনমূলের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে, তাতে অনেকটা চাপে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। আর তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে ভবিষ্যতের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এখন থেকেই নিজেদের ভাবমূর্তি সবার জন্য দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিতে চাইছে শাসকদল। যদিও বা তৃণমূলের এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “এটা শুনে হাসতে হাসতে আমার পেট ব্যথা হয়ে গেছে। ঠগ বাচতে গা উজাড় হয়ে যাবে তো। তৃণমূল যদি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তাহলে এক্ষুনি উচিত ভয়াবহ দূর্যোগ কবলিত এলাকার সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্যদের শোকজ করে দেওয়া। কারণ সবাই লুট করেছে। আজকে গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত প্রধানকে কান ধরে উঠবস করাচ্ছে। দুদিন পর মাথাদের টেনে বার করবে। কারণ সব কমিশন মাথাদের কাছে যাচ্ছে।”

অর্থ্যাৎ সায়ন্তন বসু এক্ষেত্রে তৃণমূলের নিচুতলার জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে একদম শীর্ষ স্তরের জনপ্রতিনিধিদের কটাক্ষ করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বদের এই সিদ্ধান্তকে আক্রমণ করতে ছাড়লেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতীতেও বহুবার দুর্নীতি বন্ধ করতে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দলের নিচুতলার নেতাকর্মীদের বার্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও ভয়াবহ দুর্যোগের সময় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ কমেনি। কিন্তু এবার দলীয় স্তরে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কড়া বার্তা শোনানোয় সেই দুর্নীতি কিছুটা হলেও কমে কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!