এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতাদের ছেঁটে ফেলার কড়া নির্দেশ! রুদ্ধদ্বার বৈঠকে উঠল হাততালির ঝড়!

দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতাদের ছেঁটে ফেলার কড়া নির্দেশ! রুদ্ধদ্বার বৈঠকে উঠল হাততালির ঝড়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রটি শাসকদল তৃণমূলের হাতছাড়া হয়। সম্প্রতি সামনেই রয়েছে ফালাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। ফালাকাটার উপনির্বাচনে জয়যুক্ত হতে উঠে-পড়ে লেগেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এই কারণেই ফালাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল দলের বিশেষ পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হয়েছে রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বনমন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতাও উপ-নির্বাচনের প্রাক্কালে বারবার আসছেন আলিপুরদুয়ারে।

ইতিপূর্বে গত দুই কর্মী সভায় দলের বিরুদ্ধে কাজ করা তৃণমূল নেতাদের এক প্রকার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল রবিবারের কর্মীসভায় তিনি জানালেন যে, দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে। দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের অপসারণের জন্য শাসকদলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামীকে তিনি বিশেষ নির্দেশ দিলেন।

পূর্বের দু’টি কর্মী সভায় বনমন্ত্রী দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। গতকাল রবিবারের বৈঠকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা নেতৃত্বর উদ্দেশ্যে বললেন, ” যদি কেউ ভেবে থাকেন আমরা কিছু জানি না, তবে ভুল করছেন। আমরা সবার উপর নজর রাখছি।” এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানালেন যে, ” সংগঠনে যাঁরা যোগ্য, তাঁদের কাজে লাগাতে হবে। যারা শুধুমাত্র পদ আঁকড়ে ‘রবার স্ট্যাম্প’ ব্যবহার করছেন, তাঁদের আর প্রয়োজন নেই।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বনমন্ত্রীর এই নির্দেশের পর আলিপুরদুয়ার তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বললেন
, ” দলের রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ আমাদের শিরোধার্য।” গতকাল স্থানীয় কমিউনিটি হলে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন বনমন্ত্রী। হাততালি দিয়ে তাঁর এই নির্দেশ সমর্থন জানালেন অনেকে।

এর সঙ্গে সঙ্গেই শাসকদলের জনসংযোগের বিষয় যে কিছুটা ঘাটতির কথা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি স্বীকারই করে নিলেন বনমন্ত্রী। একারণেই এই বৈঠকে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের তিনি নির্দেশ দিলেন যে, মানুষের কাছে যেতে, মানুষের সঙ্গে আরো ভালো ব্যবহার করতে। সেইসঙ্গে জনসংযোগের ঘাটতি আগামী ১৫ ই অক্টোবর এর মধ্যে দূর করার নির্দেশও দিলেন তিনি।

অন্যদিকে, গতকাল রবিবার আলিপুরদুয়ার জেলার জটেশ্বরে বিজেপি দলের এক বিশেষ বৈঠকে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু অভিযোগ জানালেন যে, আলিপুরদুয়ার জেলার বিজেপির একমাত্র বিধায়ক মনোজ টিগ্গাকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর এই অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ কটাক্ষ করলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য, ‘‘পায়ের নীচে জমি সরে যাওয়ায় ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছেন বিজেপি নেতারা।’’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!