এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের নাম পাঠানো হচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্বকে, শাস্তির ভয়ে ঘুম উড়ছে হেভিওয়েটদের!!

দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের নাম পাঠানো হচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্বকে, শাস্তির ভয়ে ঘুম উড়ছে হেভিওয়েটদের!!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অবশেষে হয়ত তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের হুশ ফিরতে শুরু করেছে। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় তৃতীয় বারের জন্য ফিরতে যখন মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস, ঠিক তখনই তাদের নেতাদের একের পর এক দুর্নীতি রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলেছে শাসক দলকে। ভয়াবহ দুর্যোগের সময় শাসক দলের নেতারা সহযোগিতা না করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের টাকা আত্মসাৎ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। বলা বাহুল্য, ক্ষমতায় আসার পর থেকে তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে‌।

কিন্তু সেভাবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যাতে এই ঘটনাকে ইস্যু করে ময়দানে নামতে না পারে, তার জন্য শুদ্ধিকরণের পথে হেঁটেছে রাজ্যের শাসক দল। ইতিমধ্যে জেলা থেকে কোন কোন নেতা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছেন, তাদের নাম চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্য। আর এর পরেই সেই সমস্ত দুর্নীতির সাথে যুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা দিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব।

সূত্রের খবর, রাজ্যের কাছে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের নাম পাঠাতে তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে হুগলি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। অর্থাৎ এই ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ঢিলেমি না করে দলের ভালোর জন্য সেই সমস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে তৃণমূল মানুষের কাছে ভালো হতে চাইছে বলে মনে করছেন সকলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এবার দল এবং রং না দেখে যেখানে ক্ষতিগ্রস্থরা বঞ্চিত হয়েছে, সেখানে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ একদিকে শাসকদলের পক্ষ থেকে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ এবং অন্যদিকে সেই সমস্ত নেতারা যদি দূর্নীতি করে, তাহলে প্রশাসনও সক্রিয়। ফলে দল এবং প্রশাসন দুই দিক থেকেই নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে নেতারা রেয়াত করছেন না।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত বিরোধীদের অপপ্রচার ঠেকাতে এবং নিজেদের ভাবমূর্তি ভালো করতেই তৃণমূলের এই উদ্যোগ। তবে এটা আরও আগে থেকে করলে তৃণমূল মানুষের মনে অনেক আগে থেকেই ভালো জায়গা করে নিতে পারত বলে মনে করছে একাংশ। যদিও বা এতে লাভের লাভ কিছুই হবে না বলে দাবি করছে বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলার সিপিএমের সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, “রাজ্যের শাসক দলের ভাবমূর্তি অনেকটা সোনার পাথরবাটি মত। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা বঞ্চিত হচ্ছে। সেই কথায় শাসকদল গুরুত্ব দেয়নি।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামল বসু বলেন, “যে দলের নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক মানুষদের টাকা নিয়ে নেন, তাদের রুচি নিয়েই আমাদের প্রশ্ন রয়েছে।” তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, আইন আইনের পথে চলবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অর্থাৎ তৃণমূল নেতারা এখন বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে, দুর্নীতিকে কোনোভাবেই বরদাস্ত করবেন না তারা। তবে সামনের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তৃণমূল এখন দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের নামের তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিলেও, তা কতটা সাফল্য পায় এবং তৃণমূল কতটা নিজেদের নেতাদের দুর্নীতি থেকে বাঁচাতে পারে, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!