প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, তাতে বিজেপি রাজ্য থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা বাংলায় নানা কর্মসূচিতে যোগ দিতে শুরু করেছেন। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তারপরই নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যাবে। কিন্তু তার আগে বিজেপি বাংলা দখলকে পাখির চোখ করে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করতে শুরু করেছেন।

এক্ষেত্রে রাজ্য থেকে শুরু করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ বেশি শোনা যাচ্ছে, তা হল দুর্নীতি। বৃহস্পতিবার রাজ্যে এসে সেই একই অভিযোগ করতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। তবে এবার রীতিমত সেই অমিত শাহের বক্তব্যের জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাকে কেন্দ্র করে কার্যত শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোচবিহারের পরিবর্তন যাত্রায় উপস্থিত হয়ে নানা বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করেন বিজেপি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যেখানে দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল সরকারকে সবথেকে বেশি কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি। আর তারপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসে যে কথাগুলো বলে গেলেন, তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, ভাষার কদর্যতা, দৈত্য পরায়ন মনোভাব এবং দুরন্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করে যেন শারীরিকভাবে ধমকানি দিতে এসেছেন। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে এই জিনিস মানায় না। গালি দিতে পারেন। কিন্তু আমাকে অবজ্ঞা করতে পারবেন না। আজকেও বলেছে, আমরা নাকি দুর্নীতিগ্রস্ত। চোরের মায়ের বড় গলা। চালুন করে সুচের বিচার। বক্তৃতা শুনে মনে হচ্ছিল, ফুচকা খাওয়ার ক্ষমতা নেই, ফুলকো লুচি খাবে।”

স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল নেত্রীর এই ধরনের অভিযোগ যে শাসক-বিরোধী তরজাকে আরো বাড়িয়ে দেবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্লেষকদের মতে, সম্প্রতি তৃণমূলের একের পর এক হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীরা যোগদান করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। আর এই সমস্ত নেতাদের গ্রহণ করে বিজেপি রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়াতে শুরু করেছে।

নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ সহ বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা মাঝেমধ্যেই বাংলায় আসছেন এবং তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন। আর বৃহস্পতিবার সেই রাজ্যে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে “দুর্নীতিগ্রস্ত” বলে আরও একবার সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের আগে তার সরকারের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ ওঠায় কিছুটা হলেও বিড়ম্বনায় পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাই অমিত শাহের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে এই ধরনের বক্তব্য মানায় না বলে রীতিমত বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই দুই রাজনৈতিক দলের দুই হেভিওয়েট শীর্ষ নেতা নেত্রীর এই তরজা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে পৌঁছয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।