দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ করতেই দলবিরোধী কাজের তকমা, শুরু হয়েছে বিতর্ক তৃণমূল বর্ধমান রাজনীতি রাজ্য July 7, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে রাজ্যজুড়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির থেকে রাজ্যবাসী সবাই। অবস্থা বেগতিক দেখে রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে শাসক শিবির। শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে তৃণমূল শিবিরের শুদ্ধিকরণ পদ্ধতি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শুদ্ধিকরণের পর থেকে আরও বেশি করে শাসকদলের দুর্নীতির ছবি প্রকাশ্যে আসছে। সামনে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন, আর সেদিকে লক্ষ্য রেখে এবার সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগকে সামলাতে বর্তমানে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আমফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে রীতিমত বিতর্ক চলতে থাকে রাজ্যজুড়ে। বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ উঠতে থাকে শাসকদলের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি কাটোয়া পৌরসভা এলাকায় আমফান ক্ষতিপূরণের বেনিয়মের অভিযোগ ঘিরে রীতিমতন 3 বিদায়ী কাউন্সিলর সোমবার মহকুমা শাসকের কাছে তদন্তের দাবি জানিয়ে একটি ডেপুটেশন জমা দেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় রীতিমতো শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। বিদায়ী কাউন্সিলরদের দাবি, কাটোয়া শহরে যেকজন আমফানের ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই শাসক শিবিরের কাছের লোক। এই ঘটনায় কাটোয়া মহকুমা শাসক প্রশান্ত রাজ শুক্লা জানিয়েছেন, ডেপুটেশনের কাগজ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। এদিন কাটোয়া পৌরসভার তিন বিদায়ী কাউন্সিলর যথাক্রমে ভাস্কর মন্ডল, প্রণব দত্ত এবং শ্যামল ঠাকুর মহকুমা শাসকের অফিসে গিয়ে ক্ষতিপূরণের অভিযোগ সামনে আনেন। তাঁদের দাবি, যারা এতদিন পর্যন্ত টাকা পেয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকে পাকা বাড়ির অধিকারী। এই ঘটনায় তাঁরা অভিযোগ তোলেন কাটোয়ার পুর প্রশাসকের দিকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শুধু আমফান নয়, আবাস যোজনা ঘিরেও তাঁদের অভিযোগ সামনে আসে। মহকুমা শাসকের সামনে তাঁরা জানান, আবাস যোজনা প্রকল্পেও তাঁদের নাম নথিভুক্ত হয়েছে যাঁদের পাকা বাড়ি আছে। এছাড়াও কাউন্সিলরদের ঘনিষ্ট আত্মীয়দের নাম ঢুকেছে ক্ষতিপূরণের তালিকায়। অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে তাঁরা স্বীকার করে নিয়েছেন স্বজনপোষণের ঘটনা। অবশ্য এই নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই শুরু হয়েছে প্রবল গুঞ্জন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে কাটোয়া পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদনকারীদের আবেদন মহকুমা শাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। এই মুহূর্তে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে কাটোয়া পুরসভায় বলে জানা গেছে। উপরন্তু এদিন পুরসভার প্রশাসক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত যাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে, তাঁরা যদি ফেরত না দেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে। তবে তিন কাউন্সিলর যারা মহকুমা শাসকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এ দিন পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় দলবিরোধী কাজের অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, কাটোয়া পুরসভার দুর্নীতি ঘিরে যেভাবে প্রশাসক ও কাউন্সিলরদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে, তা কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকেই ইঙ্গিত করে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিরোধী শিবিরের অভিযোগ বর্তমানে সত্য বলে প্রমাণিত। এর ফলে রাজ্যজুড়ে তৃণমূল শিবিরকে খুব স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের যে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে শাসকদল। বর্তমান পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -