এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দুর্নীতিগ্রস্ত হেভিওয়েট নেতাকে তৃণমূল তাড়ালেও, তিনি আছেন বহাল তবিয়তেই! শুরু চূড়ান্ত ক্ষোভ!

দুর্নীতিগ্রস্ত হেভিওয়েট নেতাকে তৃণমূল তাড়ালেও, তিনি আছেন বহাল তবিয়তেই! শুরু চূড়ান্ত ক্ষোভ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি আমফান পরবর্তী ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ক্ষতিপূরণ নিয়ে বহু জায়গায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বিরোধী দলগুলি তো বটেই, রাজ্যের সাধারণ মানুষও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তৃণমূল সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে। পরিস্থিতি বিচার করে নড়েচড়ে বসে তৃণমূল প্রশাসন। এবং তারপরেই দুর্নীতিকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বলা যায় এভাবে এক প্রকার দলের শুদ্ধিকরণ চলতে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের অন্যরকম প্রতিচ্ছবি সাধারণের সামনে নিয়ে এলো এই শুদ্ধিকরণ।

অন্যদিকে তৃণমূলের শীর্ষস্তর থেকে বলা হয়েছিল, দুর্নীতির সাথে জড়িত এরকম কারোর নাম সামনে এলে তাঁকে দলের তরফ থেকে শোকজ করা হবে। দোষ প্রমাণিত হলে তাঁকে করা হবে সাসপেন্ড। এভাবেই দুর্নীতির অভিযোগে সাসপেন্ড হয়েছিলেন তৃণমূল পরিচালিত সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ। কিন্তু দীর্ঘ কুড়ি দিন কেটে যাবার পরেও জয়ন্ত ঘোষ এখনো পর্যন্ত ইস্তফা দেননি। আর তাই তাঁর পদত্যাগের দাবিতে বৃহস্পতিবার প্রায় দু’ঘণ্টা সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতি কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের কয়েকশো কর্মী।

এদিন ব্লকের 16 টি পঞ্চায়েতের বহু তৃণমূল কর্মী এই বিক্ষোভে যোগ দেন বলে জানা গেছে। তবে সাঁকরাইল বিধানসভার কোন পরিচিত তৃণমূল নেতাকে এই বিক্ষোভে দেখা যায়নি বলেই খবর। অন্যদিকে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য হলো, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা পদত্যাগ না করায় সাধারণ মানুষ রীতিমত ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছে। মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে তৃণমূলের নিচু স্তরের কর্মীদের। অন্যদিকে দলের নেতারাও এই মুহূর্তে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। আর সে কারণেই এই বিক্ষোভ কর্মসূচি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে জয়ন্ত ঘোষের বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করেছিলেন হাওড়া সদর তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। তবে এদিন অরূপ রায় প্রকারান্তরে হাত গুটিয়ে নিয়েছেন এই বিষয় থেকে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, সমস্ত পরিস্থিতি বিচার করে রাজ্য নেতৃত্ব পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। অন্যদিকে জয়ন্ত বাবুর পদত্যাগ না করার কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী কোন সভাপতি যদি নিজে থেকে পদত্যাগ না করেন তাহলে কেউ কিছু করতে পারবেনা।

বোর্ড গঠনের আড়াই বছরের আগে তাঁর বিরুদ্ধে কোনরকম অনাস্থা প্রস্তাবও আনা যাবেনা। আর সেই সুযোগ নিয়েই জয়ন্ত ঘোষ এখনো গদি আঁকড়ে বসে আছেন। অন্যদিকে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। শাসকদলের দিকে প্রশ্ন আসছে, দুর্নীতির অভিযোগ সত্বেও কিভাবে এখনো পর্যন্ত গদি আঁকড়ে কেউ বসে থাকতে পারে? সে ক্ষেত্রে কেন তৃণমূল নেতৃত্ব কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না? অন্যদিকে বিরোধী দলের দাবি, তৃণমূলে দুর্নীতি আদ্যপ্রান্ত জড়িয়ে আছে। আর তা এই ঘটনা থেকে আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠল। এই অবস্থায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, সেদিকে কিন্তু এবার নজর রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!