এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দুর্নীতিমুক্ত ভারত গড়ার লক্ষ্যে এবার যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী!

দুর্নীতিমুক্ত ভারত গড়ার লক্ষ্যে এবার যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশকে ঢেলে সাজাতে একের পর এক নতুন নিয়ম আনছেন মোদি সরকার। ভারতের বিভিন্ন দফতরে করাপশন নিয়ে নিন্দা বহুদিনের। এবার সরকারি দফতরগুলিতে দুর্নীতি এড়াতে নতুন নিয়ম নিয়ে এল মোদি সরকার। সেই মত সরকারি অফিসে অযোগ্য ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মীদের চিহ্নিত করে জনস্বার্থে তাঁদের আগাম অবসর দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর তাই কেন্দ্র যে সমস্ত সরকারি কর্মীর কর্মজীবনের ৩০ বছর পূর্ণ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের সার্ভিস রেকর্ড খতিয়ে দেখার জন্য সমস্ত দপ্তরের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এই সরকারি ব্যবস্থায় কোনো সরকারি কর্মচারীর কর্মজীবনের ৩০ বছর পূর্ণ হলে বা কর্মীর ৫০-৫৫ বছর বয়স হলে সরকার জনস্বার্থে তাঁকে আগাম অবসর দিতে পারে বলেই জানা গেছে। শুক্রবার কেন্দ্র সরকারি তরফে এই মর্মে নির্দেশ জারি করেছে। যে নির্দেশিকায় দাবি করা হয়েছে যে, আগেও সরকারি কর্মীর দক্ষতা যাচাই করতে মাঝে মাঝেই এই ধরনের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে কোনও কোনও কর্মীকে আগাম অবসরও দেওয়া হয়। নতুন নির্দেশিকায় সেটাকেই আরও স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। অন্যদিকে যাতে বিভিন্ন দপ্তরে একইভাবে এই নির্দেশ কার্যকর হয়, সেটা নিশ্চিতভাবে দেখার ফরমান জারি করা হয়েছে।

এই নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, সরকারি কাজের গ্রুপ এ এবং গ্রুপ বি-র ক্ষেত্রে কোনো কর্মচারীর বয়স ৫০ বছর হলেই তাঁর দক্ষতা যাচাই করা যাবে। সেক্ষেত্রে যদি ৩৫ বছর বয়স হওয়ার আগে তিনি কাজে যোগ দিয়ে থাকেন। এছাড়া ৫৫ বছরের পর হলেও সেটা করতে হবে। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে ৩৫ বছর বয়সের পর কাজে যোগ দিতে হবে। এছাড়া গ্রুপ সি এবং অন্য স্তরের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির ৩০ বছর কর্মজীবন পূর্ণ করলেই তাকে তিন মাসের লিখিত নোটিশ এবং বেতন ও ভাতা দিয়ে আগাম অবসর দেওয়া যেতে পারে। তবে প্রতি ক্ষেত্রেই তা পেনশন রুলের অন্তর্গত না হলে তবেই করা যাবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উল্টোদিকে পেনশন রুলের অন্তর্গত যে কোনও কর্মীকে ৩০ বছর কাজ করার পর, তার এতদিনের পারফরম্যান্স যাচাই করে তবেই অবসর দেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। যদি পারফরম্যান্স ভালো থাকে, তাহলে সেটা নাও হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রেও তিন মাসের নোটিশ, বেতন-ভাতা সহ অবসরকালীন পেনশন চালু করতে হবে। প্রতিটি দপ্তরকেই সে জন্য রেজিস্টার তৈরি করতে বলা হয়েছে। প্রতি ত্রৈমাসিকের শুরুতে তা খতিয়ে দেখবেন দপ্তরের সিনিয়র আধিকারিক। এরই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পদে কাজ করার দক্ষতা ওই সরকারি কর্মীর আছে কি না বা তাঁর বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ আছে কি না, সেটাও দেখতে হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স অ্যাপ্রাইজাল রিপোর্ট (APR) রিপোর্টও পরীক্ষা করে দেখা হতে পারে বলেই জানা গেছে।

কেন্দ্রের নির্দেশিকায় অনুযায়ী, ফান্ডামেন্টাল রুলের ৫৬(জে), ৫৬(এল) এবং ১৯৭২-এর সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসের (পেনশন) ৪৮(১)(বি) ধারা অনুযায়ী সরকারি ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের হাতে জনস্বার্থে কোনও সরকারি কর্মীকে আগাম অবসর দেওয়ার এই একচ্ছত্র ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তবে এটা বাধ্যতামূলক অবসরের মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নয় বলেই জানানো হয়েছে। কেবল অযোগ্য ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মীদের সরাতেই এমন পদক্ষেপ বলেই জানানো হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!