BREAKING NEWS! বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগে এই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে CBI তদন্তের নির্দেশ আদালতের জাতীয় বিশেষ খবর October 28, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আজ থেকেই বিহারে শুরু হয়ে যাচ্ছে বিধানসভা ভোট। বস্তুত এতদিনের এত প্রচারের পরে রাজনৈতিক দলগুলি দুশ্চিন্তায় রয়েছে, কারণ ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের মত বাকি রাজ্যগুলিতেও ভোটের সময় এগিয়ে আসছে। ফলত এমন মুহূর্তে যেকোনো রাজনৈতিক দলেরই নিজেদের ভাবমূর্তি ঠিক রাখার জন্য যে যথেষ্ট পরিমাণ চাপ রয়েছে, সে কথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। তবে সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। যা নিয়ে আপাতত বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নোট বাতিল হওয়ার সময় এক ব্যক্তির কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, দুই সাংবাদিকের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে আজ উত্তরাখণ্ডের হাইকোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে এক ফেসবুক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করার জন্য সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে নেবারও নির্দেশ দিয়েছে উত্তরাখণ্ডের হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, সেই সময় ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত ঝাড়খণ্ডের বিজেপি পর্যবেক্ষক ছিলেন। সেই সময়ই এক গো সেবা আয়োগের প্রধান করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে, এক ব্যক্তির থেকে তিনি মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শুধু তাই নয়, সেই টাকা তাঁর নিজের একাউন্টে না নিয়ে নিজের এক আত্মিয়ের একাউন্টে ট্রান্সফার করার অভিযোগ উঠেছিল সেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগেই উমেশ কুমার শর্মা নামে এক সাংবাদিক ফেসবুক পোস্টে এই কথা প্রকাশ্যে আনতেই রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে উত্তরাখান্ড পুলিশ। তবে সেই সাংবাদিক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে শুধুমাত্র সেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই নয়, সাংবাদিক নিজের কথার সত্যতার ক্ষেত্রেও হাইকোর্টের কাছে আবেদন করেন এবং সেই সাংবাদিকদের দাবি মেনেই হাইকোর্টের বিচারপতি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে ওই সাংবাদিকের উপর থেকে সমস্ত এফআইআর তুলে নেবারও নির্দেশ দিয়েছেন বলে তথ্য সূত্র জানা গেছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন এবং হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তারা। তবুও সেই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়কে সম্মান করে সত্যিটা যে সকলের সামনে আসবে সেই কথাতেই আশা রেখেছেন তিনি। সেই জন্য তদন্তে সমস্ত সহযোগিতা করতেও তিনি রাজি বলেই জানিয়েছে তিনি। তবে যাই হোক, এক্ষেত্রে বিজেপির ভাবমূর্তি যে কিছুটা হলেও ক্ষুণ্ন হবে, সে কথা বলাই বাহুল্য। আপনার মতামত জানান -