এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দুর্নীতি কাঁটা উপরে ফেলে বিধানসভায় তৃণমূলের হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে পিকে দেবেন মাস্টারস্ট্রোক?

দুর্নীতি কাঁটা উপরে ফেলে বিধানসভায় তৃণমূলের হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে পিকে দেবেন মাস্টারস্ট্রোক?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এর কাছে একটি ‘প্রেস্টিজিয়াস ফাইট’ হতে চলেছে। কারণ ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি রাজ্যে শক্তিশালী হতে শুরু করে দিয়েছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের ধারাকে অব্যাহত রাখতে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে রাজ্যের শাসক দলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে শাসকদলের জয়লাভের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন রকম পন্থা নিয়েছেন পিকে। আগামী নির্বাচনে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠতে চলেছে স্বচ্ছতা। ভোট কুশলী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত বারবার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের শাসক দলের মধ্য থেকে অস্বচ্ছতা দূর করে ফেলতে।

এদিকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দিক থেকে উঠে এসেছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। সম্প্রতি আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিপূরণকে দানকে কেন্দ্র করে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে শাসকদলের উপরে। বিরোধী পক্ষের অভিযোগ, ঝড়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা অনেক ক্ষেত্রে সরকারের সাহায্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, উপরন্ত যেসব মানুষের কোন ক্ষতি হয়নি সেসব মানুষেরা পেয়ে গেছেন সরকারি সাহায্য। এর প্রতিবাদে সরকারের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা পর্যন্ত দায়ের করেছে রাজ্যের বিরোধীমহল। সেইসঙ্গে রাজ্যের স্থানে স্থানে দেখা দিয়েছে বিক্ষোভ সমাবেশ।

আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে দল থেকে দুর্নীতির কালিমা মুছে ফেলতে বিশেষভাবে উঠে পড়ে লেগেছে শাসকদল। এই কারণেই শাসক দল তাদের যুব সদস্যদের উপর বিশেষভাবে আস্থা প্রকাশ করেছে। পুরোনো রীতি ঝেড়ে ফেলে ৪০ বছরের কম বয়স্ক ও স্বচ্ছ ব্যক্তিত্বের যুবা তৃণমূল সদস্যদের দলের প্রথম সারিতে আনার প্রচেষ্টা চলছে।

রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, রাজ্যের সমস্ত জেলা কমিটিতে এখন থেকে ৪০ উর্ধ সদস্যদের স্থান দেওয়া হবে না। আগামী দিনে জেলা কমিটিকে আরো ছোট করে দেওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। কমিটি ছোট করে কর্মদক্ষতা বাড়াতে আগ্রহী শাসক দল। এ প্রসঙ্গে জনৈক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন যে, যুবসমাজকে রাজ্যের শাসক দলের প্রতি বেশি করে আগ্রহী করে আগামী দিনে রাজ্যের সমস্ত যুবসমাজকে শাসকদল অভিমুখী করতে চাইছে তৃণমূল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের সাংগঠনিক কাঠামোতে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করে দলকে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অধিকারী করে তুলতে চান তৃণমূল সুপ্রিমো ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এইজন্য দলের মূল কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে জেলা সভাপতি পর্যন্ত তরুণ নেতৃত্বের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হবে। এজন্য ২১ জন সদস্য বিশিষ্ট নতুন রাজ্য কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এবং তৃণমূলের সাত সদস্যের প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। তৃণমূলের সাত সদস্যের নতুন চ্যানেলে আছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের, শুভেন্দু অধিকারী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শান্তা ছেত্রি প্রমুখরা।

এভাবেই সাত সদস্যের প্যানেল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হাওড়া, কোচবিহার, পুরুলিয়া, নদীয়া ঝারগ্রাম, দক্ষিণ দিনাজপুর সহ বেশকিছু জেলায় পুরনো সভাপতিদের অপসারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে নতুন সভাপতিকে। যেমন হাওড়া জেলায় প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে সভাপতি করা হয়েছে, নদীয়ায় করা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে, ঝাড়গ্রামে দুলাল মুর্মুকে, পুরুলিয়াতে গুরুপদ টুডুকে, বাঁকুড়া জেলায় শ্যামল সাঁতরাকে। এভাবে আরও অনেক তরুণ সদস্যকে জেলার দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে শাসক দল।

দলের সাংগঠনিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের ডাটাবেস তৈরি করা, দলের আভ্যন্তরীণ অন্তর্দ্বন্দ্বের খবর রাখা, স্থানীয় নেতাদের পারফরম্যান্স সমস্ত কিছু বারবার বিচার-বিবেচনা করছেন পিকে। এই সবকিছু বিচার-বিবেচনার পর আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তিনি একটি জোরতার প্রচার শুরু করতে চলেছেন শাসক পক্ষে। যা আগামী নির্বাচনে লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে শাসক দলকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!