এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দুর্নীতির তালিকায় তৃণমূলের পর এবার বিজেপি নেতার নাম, চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে

দুর্নীতির তালিকায় তৃণমূলের পর এবার বিজেপি নেতার নাম, চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট আমফান পরবর্তী সময়ে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে বারবার খড়্গহস্ত হয়েছে বিরোধী শিবির বিজেপি। তাঁদের একটাই অভিযোগ, শাসক শিবিরের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত দুর্নীতি হচ্ছে আমফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে। অন্যদিকে বিরোধী শিবিরের সাথে সাথে রাজ্যের সাধারণ জনগণও শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে দুর্নীতি নিয়ে। জায়গায় জায়গায় চূড়ান্ত স্বজনপোষণের ছবি ধরা পড়ে এবং নাম উঠে আসে শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের। খুব স্বাভাবিকভাবেই অবস্থা গুরুতর দেখে রীতিমতো নড়েচড়ে বসে রাজ্য প্রশাসন।

এবং তারপরে শাসক শিবিরের পক্ষ থেকে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই এবার দুর্নীতিতে নাম জড়ালো বিজেপি নেতার। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো সমালোচনা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরের সম্পর্কে। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙ্গড়ের কাশিপুর গ্রামে। এলাকায় সচ্ছল গৃহকর্তা হিসেবে পরিচিত বিজেপি নেতা প্রবীর ঘোষ। পেশায় তিনি ভাঙ্গড় 2 নম্বর ব্লকের শ্রমদপ্তর এর অস্থায়ী ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। মোটের ওপর বাড়ি, গাড়ি, এসি সবই আছে। কোন অভাব নেই।

কিন্তু এবার এই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, অসাধু উপায়ে তিনি আমফানের ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা করেছেন। সূত্রের খবর, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় নাম উঠেছে প্রবীর ঘোষের স্ত্রী এবং মায়ের। এবং তা প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয়রা রীতিমত ক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বলে জানা গেছে। এ ঘটনা প্রসঙ্গে ভাঙড় ২ নম্বরের বিডিও কৌশিক মাইতি জানান, উক্ত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় শানপুকুরের ছেলেগোয়ালিয়র ১১ নম্বর সংসদের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য তুলসি দাস। পুরো ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য তুলসীদাস এই অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, “বিজেপি নেতারা পরিচয়-ঠিকানা ভাঁড়িয়ে ত্রাণের আবেদন করছে আর বদনাম হচ্ছে শাসকদলের! এটা কোনওভাবেই মানা হবে না।” অন্যদিকে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে। তাঁর কথায় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তাঁর বাড়ির টিনের চাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর সে কারণেই ক্ষতিপূরণের নামের তালিকায় তাঁর স্ত্রীর হয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে তিনি আরো বলেন, তাঁর মা তাঁর সঙ্গে থাকেননা। মায়ের বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঝড়ের পর। সেকারণে মায়ের নামও উঠেছে ক্ষতিপূরণের আবেদনের তালিকায়। তবে এরপরেই বিজেপি নেতা প্রবীর ঘোষ একটি চাঞ্চল্যকর উক্তি করেন। তাঁর কথায়, সরকারি নির্দেশিকায় এমন কোনো নির্দেশ নেই, যেখানে বলা আছে যে পাকা বাড়ি থাকলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবেনা। আর এই উক্তি ঘিরেই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মতে, এতদিন পর্যন্ত শাসক শিবিরের দিকে দুর্নীতির জন্য অভিযোগের আঙুল তুলেছিল গেরুয়া শিবির।

কিন্তু এবার রাজ্যবাসীর সামনে উঠে এলো বিজেপি নেতার কীর্তি। এবং এই ঘটনা যে গেরুয়া শিবিরকে রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহই নেই বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। আপাতত উক্ত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা নিয়ে এবার গেরুয়া শিবির কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেদিকে লক্ষ্য থাকবে সবার। তবে গেরুয়া শিবিরের এই ঘটনা সামনে আসায় স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল শিবির যে কিছুটা চাপমুক্ত হল, তা এককথায় মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!