এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দূরত্ব কি মিটতে চলেছে? অবশেষে প্রকাশ্যে দিলীপ-শুভেন্দু জুটি!

দূরত্ব কি মিটতে চলেছে? অবশেষে প্রকাশ্যে দিলীপ-শুভেন্দু জুটি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকেই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হচ্ছে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এক্ষেত্রে সেই জল্পনা আরও বৃদ্ধি পায়, যখন 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বিজেপির প্রথম বড় আন্দোলনে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ উপস্থিত থাকলেও, অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাংশ বলতে শুরু করেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এখন দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি গুরুত্ব পাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই কারণেই তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে।

যদিও বা বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই কথাকে কোনোকালেই স্বীকার করা হয়নি। কিন্তু কলকাতা পৌরসভার অভিযানে সব সময় তৃণমূল সরকারের ঘুম উড়িয়ে দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে কেন দেখা গেল না! তাহলে কি তার প্রধান কারণ, দিলীপ ঘোষের উপস্থিতি! তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয় প্রশ্ন। যার জেরে শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সেই ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায় সমালোচক মহলের একাংশের। কিন্তু এবার সেই সমস্ত কিছুতে কর্ণপাত না করে বিধানসভাতে এক সাথেই দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপির বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীকে।

আর দুই নেতাকে একসাথে দেখে রীতিমতো আশাবাদী হয়ে পড়েন দলের সমস্ত বিধায়করা। এতদিন অনেকে শুভেন্দুবাবু এবং দিলীপবাবুর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে বলে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু বিধানসভার এদিনের ছবি থেকেই পরিষ্কার যে, তাদের মধ্যে কোনো দূরত্ব হয়নি। আর দূরত্ব হলেও তারা যে সেই বিষয়টি কাউকে বুঝতে দেবে না এবং তা নিয়ে যে কেউ বিজেপিকে কটাক্ষ করতে পারবে না, তা একপ্রকার স্পষ্ট বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে তার ছবিতে মালা দিতে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ দলের অন্যান্য বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, কিছুদিন আগেই দলের প্রশিক্ষণ শিবিরে পরোক্ষে শুভেন্দু অধিকারীকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দলের উর্ধ্বে যে কেউ নয়, তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। একাংশের দাবি, বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর রাজভবন থেকে শুরু করে দিল্লিতে কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন শুভেন্দুবাবু। তারপরেই গোটা বিষয় নিয়ে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি আর কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা শুভেন্দুবাবু জানিয়েছিলেন, তিনি অমিতাভ চক্রবর্তীকে জানিয়েই দিল্লিতে এসেছেন। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দুবাবুর এক কথা এবং দিলীপবাবুর আর এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দূরত্ব যে ক্রমেই জোরালো হয়ে উঠেছে, তা স্পষ্ট হয়ে যায়। তবে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই বিধানসভায় উপস্থিত হয়ে শুভেন্দু অধিকারী সহ দলের বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেল বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। পাশাপাশি শাসকদলের বিরোধিতায় তারা যে ঐক্যবদ্ধ, বিধানসভায় উপস্থিত হয়ে তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।

এদিন বিধানসভায় উপস্থিত হয়ে সরকারের একতরফা নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “বিরোধীদের কথা বলার অধিকার সব সময় আছে। সংখ্যা থাকলেই যা খুশি করা যায় না। বিরোধী দলনেতাকে বাবা তুলে আক্রমণ করা হচ্ছে। জিনিস ভাবা যায় না।” শুভেন্দু অধিকারী যে অভিযোগ করেছেন, সেই অভিযোগেরই প্রতিধ্বনি শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায়। একাংশ বলেছেন, কিছুদিন আগেই কলকাতা পৌরসভা অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর মত তাবড় নেতা উপস্থিত থাকবেন বলেই মনে করা হয়েছিল।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত দিলীপ ঘোষ মিছিলের নেতৃত্ব দিলেও অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। যার ফলে জল্পনা আরও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে দিলীপবাবুর দূরত্ব নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করে সমালোচকরা। তবে অবশেষে বিধানসভায় উপস্থিত হয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সুরেই সুর মিলিয়ে সরকার পক্ষকে কটাক্ষ করে তাদের মধ্যে যে কোনো দূরত্ব নেই, তা বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে প্রকাশ্যে তাদের মধ্যে বিরোধিতা নেই এই বিষয়টি পরিষ্কার হলেও, তলায় তলায় কি তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, এখন এটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!