কাগজ দেখাবেন না, দিতে হবে পরিষেবা! ‘দুয়ারে সরকার’-এ সরকারি কর্মীকে হেনস্থা তৃণমূল নেতার তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য December 5, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মমতা সরকারের কথায় ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে গেছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। আর চলতি মাসের শুরু থেকে এই কর্মসূচি নিয়ে মানুষের মধ্যে যেভাবে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে যেখানে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর জন্য মানুষ দলে দলে নাম লেখাতে শুরু করেছেন, সেখানে এই প্রকল্পের জনপ্রিয়তার জোরে মুখ্যমন্ত্রী একুশের নির্বাচনের ভালো ফল করবেন বলেই আশা রেখেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে তাঁদের কথায়, সেখানে যদি বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তৃতীয়বারের জন্য আবার বাংলার শাসনভার দখল করে নেন, তবে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই বলেই জানাতে দেখা গিয়েছিল তাদেরকে। কিন্তু এই প্রকল্প নিয়েও যে মানুষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হবে না সে কথাটাও অস্বাভাবিক নয় বলেই জানিয়েছিলেন তাঁরা। কারণ যেখানে ভালো সেখানে যে কিছু খারাপ থাকে সেই কথাকে সাক্ষী করে বিশেষজ্ঞদের বলতে শোনা গিয়েছিল এই প্রকল্প নিয়ে যেমন মানুষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরী হয়েছে, তেমনই বিরোধও দেখা যেতে পারে। তবে এরই মধ্যে সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে আউসগ্রামে মমতার এই কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার ঘটনাও জানা গিয়েছিল কিছুদিন আগেই। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছিল। আপনার মতামত জানান - সেখানে যদিও এ কথা বলা হয় যে বিরোধীরা ইচ্ছা করে উন্নয়নের কাজে বাধা দিচ্ছেন। তবুও বিরোধীদের গলায় কিন্তু শোনা গিয়েছিল অন্য সুর। সেখানে মমতা সরকার মুখে নানা প্রকল্পের কথা বললেও এতদিনে আদপে যে তা কোনোভাবেই ফলপ্রসূ হয়নি এবং নির্বাচন আসতেই যে সেই কাজ করতে সরকার উঠে পড়ে লেগেছে, আর এক্ষেত্রে ভোট আদায়ই যে একমাত্র তাদের লক্ষ্য, এমনটাই অভিযোগ করতে শোনা গিয়েছিল বিরোধীদের। তবে সম্প্রতি কোনো নথি ছাড়াই দুয়ারে সরকার প্রকল্পের সুবিধা নিতে গিয়ে এক সরকারি কর্মীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে খোদ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেই। ফলে আবার অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক মহল। জানা গেছে, নথি না দিয়ে, এমনকি সংশ্লিষ্ট ফর্মও জমা দিয়েও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করে দিতে হবে, এই আদবার করেছিলেন তৃণমূলের এক নেতা। কিন্তু তা না মানায় ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির ক্যাম্পে গিয়ে এক সরকারি আধিকারিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এলাকার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সাঁইথিয়ার বনগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। যার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায় বলেও জানা গেছে। বস্তুত, শুক্রবার থেকে সাঁইথিয়ার বনগ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ‘দুয়ারে সরকার ক্যাম্প শুরু হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সেখানে তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ওই ক্যাম্পে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা অরবিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড করে দিতে হবে বলে দাবি করেন ক্যাম্পের কর্মীদের কাছে। সেখানে হরিপদ দাস নামে এক কর্মী তাঁকে নথি নিয়ে আসতে বলেন। সেই সঙ্গে ফর্ম জমা দেওয়ার কথাও বলা হয়। সেখানে অরবিন্দবাবু নাকি নথি দেখানো বা ফর্ম জমা দেওয়া, কোনওটাই করতে চাননি। উল্টে হরিপদ বাবুর সঙ্গে বচসা শুরু করেন। জানা গেছে, এরপর একটা পর্যায়ে হরিপদবাবুকে হেনস্থা ও মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে সাইথিয়া থানার পুলিশ গিয়ে অবস্থা সামাল দেয় বলেও জানা যায়। যদিও এই ঘটনার পর জয়েন্ট বিডিও বংশীবদন মুর্মু জানিয়েছেন, ‘‘আমরা বিষয়টি শুনেছি। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে একটা গন্ডগোল হয়েছে। কিন্ত আমাদের কিছু করার নেই।” সেইসঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি জমা না দিলে কোনও পরিষেবাই দেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -