এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দুয়ারে সরকারের হাত ধরে এবার ভোটের আগে মানুষের জন্য দরজা হাট করে খুলছেন হেভিওয়েট মন্ত্রীরাও

দুয়ারে সরকারের হাত ধরে এবার ভোটের আগে মানুষের জন্য দরজা হাট করে খুলছেন হেভিওয়েট মন্ত্রীরাও


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোট বড় বালাই। আর তাই নির্বাচনের আগে এখন রীতিমত মানুষের পাশে দাঁড়াতে যানপ্রান লাগিয়ে দিচ্ছেন নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা। একদিকে দুয়ারে সরকার, অন্যদিকে পাড়ায় সমাধান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ইতিমধ্যেই মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই হাঁটতে শুরু করেছেন তাঁর মন্ত্রিসভার হেভিওয়েট মন্ত্রীরা। জানা গেছে, সম্প্রতি দুয়ারের সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে জাতিগত শংসাপত্র নেওয়ার জন্য জমির দলিল চাওয়া হচ্ছে বলে একটি বিষয় নজরে এসেছিল রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের।

আর তারপরেই এই ব্যাপারে উদ্যোগী হয়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট একটি পোস্ট করেন রবিবাবু। যেখানে কোনোভাবেই কোনো জমির দলিল দেখাতে হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি এই ব্যাপারে যদি কারো কোনো সমস্যা হয়, তাহলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন বলেও নিজের ফোন নম্বর ফেসবুকে পোস্ট করে দেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তবে হঠাৎ করেই রবীন্দ্রনাথ ঘোষের এই অতি সক্রিয়তা নিয়ে এবং মানুষের অসুবিধা নিয়ে সমাধানের উদ্যোগকে কেন্দ্র করে রীতিমতো জল্পনা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।

অনেকে বলছেন, জনপ্রতিনিধিদের কাজ মানুষের পাশে থাকা। সেদিক থেকে রবিবাবুর এই ধরনের উদ্যোগে জল্পনার কিছু নেই। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে একাংশের দাবি, এতদিন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের এই ধরনের উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। কিন্তু এখন সামনে যখন নির্বাচন, তাই চাপে পড়েই মানুষের প্রতি দরদ দেখাতে শুরু করেছেন নেতা মন্ত্রীরা। হঠাৎ করে নিজের ফেসবুকে এই ধরনের পোস্ট করতে হল কেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “দুয়ারে সরকারে গতকালকে আমি দেখেছি, জমির দলিল চাওয়া হচ্ছে। এটা একেবারেই অবান্তর বিষয়। এরপরই আমি জেলাশাসককে বিষয়টি নিয়ে জানিয়েছি। অনেকে এজন্য ক্যাম্প থেকে ঘুরে গিয়েছেন। যে কর্মীরা এই কাজ করছেন, তারা হয়তো এটা জানেন না। পুরোনো নিয়ম জানেন। সেই কারণেই পোস্ট করেছে। আমার ফোন নম্বর দিয়েছি। যাতে কারো সমস্যা হলে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।”

পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলছেন, সব কিছুই হচ্ছে নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পক্ষ থেকে এখন মানুষের কাছে যাওয়ার জন্য এবং জনসংযোগের জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। দলগতভাবে এবং সরকারিভাবে একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে মানুষের কাছে নিজের দলকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিক থেকে এই শংসাপত্র পাওয়ার সময় দলিল চাওয়ার বিষয়টি তার নজরে আসতেই পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

যেখানে সরাসরি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে কারও কোনো অসুবিধা হলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলে দিলেন তিনি। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে দিনের শেষে একটা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এতদিন যদি এইরকম মানুষের অসুবিধা মোকাবিলা করতে দেখা যেত জনপ্রতিনিধিদের, তাহলে হয়ত সেভাবে সাধারণ মানুষের কোনো অসুবিধে থাকত না। কিন্তু ভোটের সময় বেছে বেছে এইভাবে নেতা-মন্ত্রীরা এগিয়ে আসায় মানুষের মনে ভোট বড় বালাই প্রশ্নটা আরও বেশি করে মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!