এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > দ্বন্দ্ব চরমে! আড়াআড়ি বিভাজন দলের প্রভাবশালীরা! বিধানসভার আগে ঘুম উড়ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের?

দ্বন্দ্ব চরমে! আড়াআড়ি বিভাজন দলের প্রভাবশালীরা! বিধানসভার আগে ঘুম উড়ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলই ডোবাবে তৃণমূলকে! অপ্রিয় হলেও একথা মেনে নেন তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা। শাখা সংগঠন থেকে শুরু করে মূল নেতৃত্ব বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে আসে। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়ে গোটা দল। সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। কাজ হয়নি। দুর্গাপুরে শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের বিরোধের কথা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবার শ্রমিক সংগঠনের সেই দ্বন্দ্ব দেখা গেল পৌরসভাতেও। যেখানে স্পষ্ট হয়ে গেল শাসকদলের কাউন্সিলরদের মধ্যে বিভাজনের ছবি। মেয়রের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেল মেয়র পারিষদ সদস্যদের।

জানা গেছে, 28 নম্বর ওয়ার্ডের বনমালী সরণিতে পৌরসভার একটি টোল প্লাজা নিয়ে চরম বিতর্ক ছড়ায়। জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে এই লিজের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, পৌরসভার কমিশনার টেন্ডার আহ্বান করেন। কিন্তু সেই টেন্ডার প্রক্রিয়া স্থগিত করে লিজের মেয়াদ 3 বছর বাড়ানো হয়েছে। গত সপ্তাহে মেয়র পারিষদের মিটিংয়ে এই বিষয়টি তুলেছিলেন মেয়র পারিষদ সদস্য অঙ্কিতা চৌধুরী।

যেখানে তিনি অভিযোগ করেন যে, তাদের অন্ধকারে রেখে এই কাজটি করা হয়েছে। অন্যদিকে স্টল বিলের জন্য লটারি করার দাবি জানিয়েছিলেন আর এক কাউন্সিলর দেবব্রত সাই। এদিকে এর পরেই সেই দেবব্রতবাবুর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানান জেলা তৃণমূলের সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আর পৌরসভার কাউন্সিলরদের মধ্যে এখন এই বিষয় নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হওয়া রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র দিলীপ অগস্থি বলেন, “অনেকের ব্যক্তি স্বার্থে আঘাত লাগার জন্যই এইসব কথা উঠছে। কোনো অভিযোগ থাকলে নির্দিষ্ট স্থানে জানাক। নিয়ম মেনে টোলপ্লাজার লিজের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা তৃণমূল সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, “দল বিরোধী কাজ বরদাস্ত করা হবে না। সমস্ত বিষয়ের উপর নজর রাখা হচ্ছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন এই পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে টিকিট পাওয়ার যুদ্ধে শামিল হয়েছেন। তারা কোনমতেই ভাবছেন না, বিধানসভা নির্বাচনে দল কিভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে ভালো ফল করবে। তাদের কাছে এখন প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে আগামী পৌরসভা নির্বাচনে নিজেদের টিকিট থাকবে কিনা।

কিন্তু এভাবে যদি তারা দলের অন্দরে দুই গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে নিজেদের কুকীর্তি সামনে আনতে শুরু করেন, তাহলে তো বিরোধীরা এটাকে হাতিয়ার করে ময়দানে নামবে। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে এখন সমস্ত বিষয় অনুধাবন করে পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা নেতৃত্ব কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!