এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দ্বন্দ্ব-দুর্নীতিতে ভরাডুবি! অভিষেকের সামনেই হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের স্পষ্ট জানালেন পিকে!

দ্বন্দ্ব-দুর্নীতিতে ভরাডুবি! অভিষেকের সামনেই হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের স্পষ্ট জানালেন পিকে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কোচবিহার জেলায় শাসকদল তৃণমূলের অন্দরে মতভেদ, মতান্তর ক্রমশ বেড়েই চলছিল। কিছুদিন ধরেই জেলার নতুন ব্লক ও জেলা কমিটি গঠন নিয়ে জেলার তৃণমূল শীর্ষ নেতাদের মধ্যে তীব্র বিরোধ দেখা দিয়েছিল। এই বিরোধের ফলে শাসক দল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই জেলায় দুটি সমান্তরাল শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। যার এক পক্ষে ছিলেন কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়, দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। অপর পক্ষে ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, কোচবিহারের বিধায়ক মিহির গোস্বামী এছাড়াও ছিলেন বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ, হিতেন বর্মণ, জগদীশ বসুনিয়া, ফজল করিম মিয়াঁ, অর্ঘ্য রায় প্রধানের মত বিধায়কেরা। এই দুই পরস্পর বিরোধী পক্ষ জেলা ও ব্লক কমিটিতে নিজেদের পছন্দের লোক রাখার দাবি জানিয়েছিল। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তাদের এই বিরোধের খবর পৌঁছলে তাদের বিরোধ মেটাতে গত শুক্রবার কলকাতায় এক বিশেষ বৈঠকে তাদের তলব করে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। গত শুক্রবার তিন দফায় এই বৈঠক চলেছিল।

গত শুক্রবারের এই বৈঠকে তৃণমূল দলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রশান্ত কিশোর সহ উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী প্রমুখরা। এই বৈঠকেই কোচবিহার জেলার শাসক দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্তের বিরোধ, মতান্তর, পরস্পরকে এড়িয়ে যাওয়া প্রভৃতি বিষয়টি নিয়ে তাদের যথেষ্ট সতর্ক করে দেয়া হয়। পিকে এ প্রসঙ্গে জানান যে, এই বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন, সেইসঙ্গে এই জেলার সমস্ত কিছু তাঁর নজরে আছে। এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন যে, দলের মধ্যে এরকম বিভাজ্যতার ফল কখনোই ভালো হতে পারে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে গত শুক্রবার দলের শীর্ষ নেতৃত্বর সামনেই স্পষ্টভাবে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বিধায়ক মিহির গোস্বামী থেকে জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়কে পিকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, দলের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব, মতান্তর, মতভেদ রাখা চলবে না। সকলকে সঙ্গে নিয়ে জোটবদ্ধ হয়ে চলতে হবে। পিকের এই নির্দেশের পর কোচবিহার জেলার সকল শীর্ষনেতা ঐক্যবদ্ধ ভাবে চলবার কথা দিলেন।

সম্প্রতি কোচবিহার জেলায় শাসক দলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিষয়ে এক সমীক্ষা চালিয়ে ছিল টিম পিকে। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট এই বৈঠক আনা হয়েছিল। এই সমীক্ষার রিপোর্টে ভোটারদের শতাংশর হার, নেতাদের কাজকর্ম, জেলায় তাদের ভাবমূর্তি এই সমস্ত কিছুর বিস্তারিত উল্লেখ ছিল। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ব্লক পর্যায়ের যোগ্য নেতাদের নাম ধরে ধরে কোথায় তাদের রাখা হবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত নির্দেশ দিলেন পিকে এই জেলা নেতৃত্বকে। তবে এই বিষয়ে পিকের সঙ্গে মতান্তর ঘটতে দেখা গেল শাসকদলের বেশকিছু নেতাও বিধায়কের।

আবার রাজনৈতিক উপদেষ্টা পিকে এই বৈঠকে জানালেন, এই জেলার ৫ জন নেতার নামে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাদের কোনো দায়িত্বপূর্ণ পদে রাখা হবে না বলে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিলেন পিকে। এই দুর্নীগ্রস্থের তালিকায় আছেন দিনহাটার দুজন ও কোচবিহার সদরের দুজন নেতা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!