এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দ্বন্দ্বের মেঘ কাটার ইঙ্গিত? প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পা রেখেই আপ্যায়নে অভিভূত রাজ্যপাল!

দ্বন্দ্বের মেঘ কাটার ইঙ্গিত? প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পা রেখেই আপ্যায়নে অভিভূত রাজ্যপাল!

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব বেশ কিছুদিন ধরে রাজনৈতিক চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল। বিভিন্ন ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের মতভেদ লক্ষ্য করা যায় রাজনৈতিক আঙিনায়। বেশ কিছুদিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র ঘটনায় রাজ্যপাল চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শাসকদলের প্রতি। শুধু তাই নয়, এরপর ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনায় রাজ্যপালের ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু এবার রাজনৈতিক তিক্ততাকে সরিয়ে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করে কালী পূজার নিমন্ত্রণ রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে এক রাজনৈতিক সৌহার্দের নিদর্শন রাখলেন রাজ্যপাল।

রবিবার সন্ধ্যায় হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে কালী পূজা উপলক্ষে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর সস্ত্রীক তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হন। প্রায় দু’ঘণ্টা তিনি পূজা উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কাটান। অন্য দিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে রাজ্যপালকে যেভাবে আপ্যায়ন করা হয়েছে তা দেখে মুগ্ধ রাজ‍্যপাল। অন্য দিকে মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর সৌজন্যবোধ দেখিয়েছেন যথাযথ। তিনি রাজ্যপাল ও তাঁর স্ত্রীকে স্বহস্তে চাও পরিবেশন করেছেন।

মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কালী পূজা উপলক্ষে বহু নেতা-নেত্রী এমনকি পূর্বতন প্রধানমন্ত্রীও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পা দিয়েছেন। কিন্তু রাজ্যের রাজ্যপালের পদার্পণ তাঁর বাড়িতে এই প্রথম। রাজ্যপাল হওয়ার পর থেকেই প্রশাসনের সাথে বিরোধ লেগেই থাকত। কিন্তু এদিন সমস্ত বিরোধ ভুলে রাজ্যপাল কোন প্রোটোকলের তোয়াক্কা না করে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ীতে পা দিলেন, যা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এদিন সন্ধ্যায় সস্ত্রীক রাজ্যপাল পৌঁছান তাঁর বাড়িতে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং তাঁকে অভ্যর্থনা করে ভেতরে নিয়ে যান। পুজোর তদারকির মাঝেই তিনি সস্ত্রীক রাজ্যপালের সাথে কথা বলেন। সেসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান মুখোপাধ্যায় প্রমুখরা।

এই ঘটনায় রাজ্যের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যা দিচ্ছেন রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে এই দ্বন্দ্বকে ঘিরে যে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল, তা এদিন দুই পক্ষই একসাথে সেই দ্বন্দ্বের অবসান ঘটালেন রাজনৈতিক সৌহার্দের মধ্যে দিয়ে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলের দাবি, রাজনৈতিক বিরোধিতা চললেও এই ঘটনা প্রমাণ করেছে উৎসবের আঙিনায় যে কোন দ্বন্দ্ব ম্লান হয়ে যেতে পারে সঠিক সদিচ্ছা থাকলে। তাহলে কি দ্বন্দ্বের মেঘ কাটার ইঙ্গিত? এই মুহূর্তে তার উত্তর সঠিকভাবে হয়তো দেওয়া যাবেনা। অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!