এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দ্বারিবেরিয়ার জনসভা থেকে তৃণমূলকে প্রবল আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর

দ্বারিবেরিয়ার জনসভা থেকে তৃণমূলকে প্রবল আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল কাঁথির জনসভা থেকে শাসকদল তৃণমূলকে বড়সড় ধাক্কা দেওয়ার পর আজ পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল বিধানসভার অন্তর্গত দ্বারিবেরিয়াতে জনসভায় যোগদান করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই জনসভায় বক্তব্য রাখতে চলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। আজকের এই জনসভায়ও তিনি শাসকদল তৃণমূলে বিরাট ভাঙ্গন ধরাতে পারেন বলে জল্পনা রয়েছে। আজকের জনসভায় তৃণমূল থেকে প্রায় ১৫০ জন নেতা বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন এমন খবর শোনা যাচ্ছে।

আজ মহিষাদলের দ্বারিবেরিয়ার জনসভার প্রধান বক্তা হলেন শুভেন্দু অধিকারী। সভায় বক্তব্য রাখার সময় বারবার তিনি কটাক্ষ করলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। সেই সঙ্গে তিনি প্রবল কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিজেপির সঙ্গে তাঁর ডিলের প্রসঙ্গ তুলে শাসক দল তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে তিনি জানালেন যে, রাজ্যের সমস্ত স্কুলের সামনে লেখা থাকবে বাংলার গর্ব নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তিনি জানান ডিল হয়েছে যে, সমস্ত জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করার পূর্বে লেখা থাকবে বাংলার গর্ব বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

তিনি জানালেন, ডিল হয়েছে প্রতিবছর স্কুল সার্ভিস, কলেজ সার্ভিসের পরীক্ষা নেয়া হবে। যোগ্যতা অনুযায়ী রাজ্যের সমস্ত বেকারদের নিয়োগ করা হবে চাকরিতে। শুভেন্দু অধিকারীর জানালেন ভোট এলেই শংকরপুরে বন্দর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। তিনি জানালেন যে, তিনি একসময় হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। রাজ্যের যেমন জমি নীতি, তাতে রাজ্যে কোন শিল্পই হবেনা বলে জানালেন তিনি। তিনি জানালেন, রাজ্যে চপ শিল্পও হবে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্যের পুলিশ সম্পর্কে অভিযোগ করে শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, ভাইপোর পুলিশরা ফোন ট্যাপ করা শুরু করেছে। তিনি হুশিয়ারি দিয়েছেন এমন অত্যাচার মেনে নেওয়া হবে না। আদর্শ নির্বাচন বিধি চালু হলেই আসল খেলা শুরু হবে। শুভেন্দু অধিকারী জানালেন সাড়ে ৯ বছর পর মানুষকে মনে পড়েছে সরকারের। এ কারণেই চলছে যমের দুয়ার সরকার। জনগণের প্রতি তিনি প্রশ্ন করলেন যে, জনগণ কি পাবেন, একটা করে ফরম ফিলাপ করে? তিনি জানালেন যে, ভোটের আগে একটি কার্ড দেয়া হবে। সমস্ত কিছুই মিথ্যে বলে জানালেন তিনি।

এরপর তিনি জানালেন যে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন দলের সরকার রয়েছে। কিন্তু আয়ুষ্মান ভারতের মতো প্রকল্প দেশের সমস্ত জায়গায় চালু রয়েছে। কিন্তু এই রাজ্যে তা নেই। তিনি জানান, রাজ্যের ৩ কোটির বেশি মানুষের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কার্ড রয়েছে। জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন যে, তারা জানান স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থেকে কজন সুবিধা পেয়েছেন?

তাঁর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার কারণ সম্পর্কে তিনি জানালেন যে, তিনি চান কলকাতা ও দিল্লিতে একই দলের সরকার থাকুক। এ কারণে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তিনি জানালেন যে, কলকাতা ও দিল্লিতে যদি এক দলের সরকার না থাকে, তবে শিল্প আসবে না, বেকার সমস্যার কোনো সমাধান হবে না, সেইসঙ্গে উন্নয়ন ঘটবে না পশ্চিমবঙ্গের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!