এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > বিমান দুর্ঘটনা থেকে ভূমিকম্প! একের পর এক দুঃস্বপ্নের দিন কাটাচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার মানুষ।

বিমান দুর্ঘটনা থেকে ভূমিকম্প! একের পর এক দুঃস্বপ্নের দিন কাটাচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার মানুষ।


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নতুন বছরে করোনা আতঙ্ক কাটবে এই আশায় বিশ্বের সমস্ত দেশই নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু সেখানে নতুন বছরটা মোটেই ভালো যাচ্ছে না ইন্দোনেশিয়ার জন্য। কিছুদিন আগেই এখানে ভয়ানক বিমান দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছিল। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে উড়ানের পরই শ্রীউইজায়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেঙে পড়ে।

এর ফলে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ হাজার ফুটেরও উপরে থাকা বিমানের ৬২ জন আরোহীর মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত হয়ে যায়। যদিও পরে ত্রিশূলা উপকূলীয় প্রতিরক্ষাবাহিনীর জাহাজ যাত্রীদের দেহ ও বিমানের ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রে খুঁজে পায় বলে জানা যায়। তবে সেই শোক মিটতে না মিটতেই ইন্দোনেশিয়ার সুলাওসি দ্বীপে শুক্রবার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের কথা জানা গেছে। যার ফলে কমপক্ষে ৩৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

এছাড়াও বেশ কয়েকজন মানুষ ভূমিকম্পের কারণে ধ্বংসস্তুপে আটকে করেন বলে জানা গেছে। ভোর দেড়টা নাগাত মাজনে শহরের উত্তর-পূর্ব অংশে হওয়া এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.২ আর যার বিস্তার ছিল ৩.৭৩ মাইল। জানা গেছে, এই ভূমিকম্পের ফলে ৩০০ টিরও বেশি ঘরবাড়ি ভেঙেছে। যার মধ্যে দুটি হোটেল, একটি হাসপাতাল এবং একটি আঞ্চলিক গভর্নরের অফিস ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকা পড়েছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, প্যাসিফিক রিং এ অবস্থিত হওয়ার স্বাভাবিকভাবেই ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্প প্রবণ। সেখানে ২০১৮ সালে ৬.২-মাত্রার একটি ভূমিকম্প এবং তার পরবর্তী সুনামি হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়েছিল। এছাড়া ২০০৪ সালে সুমাত্রা দ্বীপের উত্তরে ৯.১-মাত্রার সুনামি এবং ভূমিকম্পে শুধু ইন্দোনেশিয়াই নয়, শ্রীলঙ্কা, ভারত, থাইল্যান্ড সহ ৯টি দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেখানে প্রায় ২৩০,০০০ মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

যদিও পশ্চিম সুলাওসির দুর্যোগ সংস্থার প্রধানের তরফে আরো মানুষের আহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে এই ভূমিকম্পের কারণে ভূমিধস হয়, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিদ্যুত সরবরাহ এবং বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে সংযোগকারী সেতুগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয় বলে জানা যায়। এই ঘটনার পর রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোডো একটি বিবৃতিতে ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এছাড়া মানুষকে বেশি ভীত না হয়ে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই সম্পন্ন হবে বলেও জানান তিনি। সেইসঙ্গে টেলিকম ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে শুরু করে, ক্ষতিগ্রস্তদের তাঁবু, খাদ্য এবং চিকিত্সা ব্যবস্থা সরবরাহ করা হবে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণকে পরিষেবা দিতে বিলম্ব হচ্ছে বলেও জানান হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!