এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ব্যাঙ্গালোরের দুর্গাপুজো জমিয়ে দিলেন বঙ্গ-ব্রিগেডের হেভিওয়েট বিজেপি নেত্রী, উন্মাদনা তুঙ্গে

ব্যাঙ্গালোরের দুর্গাপুজো জমিয়ে দিলেন বঙ্গ-ব্রিগেডের হেভিওয়েট বিজেপি নেত্রী, উন্মাদনা তুঙ্গে


চলছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা – কলকাতা সহ গোটা বাংলা এখন রাত জেগে এক প্যান্ডেল থেকে আরেক প্যান্ডেলে গিয়ে ঠাকুর দেখার মজা উপভোগ করছেন। কিন্তু প্রবাসী বাঙালিরাও পিছিয়ে নেই – তাঁরাও দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের মত করে দুর্গাপূজার আয়োজন করেছেন। আর এই প্রবাসে পূজার মধ্যে অন্যতম হল ব্যাঙ্গালোরের পুজো। কেননা রুটি-রুজির তাগিদে বা চিকিৎসার খাতিরে যে পরিমান বাঙালি ব্যাঙ্গালোরে থাকেন তা বোধ হয় বাংলার বাইরে পৃথিবীর আর কোন শহরে নেই।

আর তাই ব্যাঙ্গালোরে মোট পুজো সংখ্যার হিসাবটা জানলে চোখ কপালে উঠে যেতে পারে – ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১০০ পুজো অনুষ্ঠিত হয় কলকাতা থেকে প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার দূরের দক্ষিণ ভারতের এই শহরে। আর শহরের অন্যতম গুরুত্ত্বপূর্ন স্থান হোয়াইটফিল্ডে – এ বছরই প্রথম শুরু হল দুর্গাপুজো। ইস্ট ব্যাঙ্গালোর কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন বা ইবিসিএর ব্যানারে প্রায় শ চারেক বাঙালি মিলে শুরু করে দিলেন দুর্গাপুজো।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই পুজো প্রথম বছর থেকেই বিশেষ গুরুত্ত্ব পাচ্ছে – এর ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য। আপনি যদি হোইটফিল্ডের কাডুগুডি অঞ্চলে যান তাহলে আপনি বুঝতেই পারবেন না যে আপনি বাংলার বাইরে আছেন। ৩০ টাকায় সবজি-ভাত থেকে শুরু করে, আলুর চপ-বেগুনি, এমনকি লেবু চা – সবই মজুত এখানে। আর হবে নাই বা কেন? চিকিৎসা করাতে যে পরিমান বাঙালি নিত্যদিন এই অঞ্চলে পা রাখেন – ভাবলেও অবাক হয়ে যাবেন। আর তাই তো দক্ষিণ ভারতের শহর হলেও – এখানে বাংলায় লেখা থেকে কথা বলা সবই পেয়ে যাবেন একেবারে বাঙালিয়ানায় ভর করে।

আর পূর্ব-ব্যাঙ্গালোরের সেই হোইটফিল্ডেই এবার নিজস্ব পুজোর আয়োজনের পরিকল্পনা করেন ক্যারিয়ারের তাগিদে কলকাতা ছাড়তে বাধ্য হওয়া একদল তরুণ তুর্কি। অভিজিৎ, সুমন্ত, শুভ্রাংশু, ইন্দ্রনীল, বর্ণ, নীলাদ্রি-এর মত একঝাঁক তরুণের সঙ্গে সঙ্গেই কাঁধে কাঁধ মেলান ঈপ্সিতা, বনানী, অভিনন্দা, অনুসূয়া, সাগরিকদের মত মহিলা-ব্রিগেডও। আর তাতেই অসাধ্য সাধন – মাত্র ৬ মাস আগে যে পুজোর পরিকল্পনা করা – তার কাঙ্খিত সফল আয়োজন করে দেখিয়ে দিলেন ব্যাঙ্গালোরের বাঙালিরা।

তবে এই পুজোয় সেরা চমক ‘আনন্দমেলার’ (ব্যাঙ্গালোরের পুজোর বৈশিষ্ট হল পঞ্চমীর দিন পুজোর মেম্বাররা নিজেরাই বাড়িতে নিজেদের পছন্দ মত খাবারের ডিশ বানিয়ে নিয়ে আসেন – আর তারপর তা পুজো প্রাঙ্গনে নিজেদের মধ্যেই চলে স্বাদ বিনিময় – একেই বলে আনন্দমেলা) দিন হাজির বঙ্গ-বিজেপির অন্যতম হেভিওয়েট নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা থেকে এত দূরে অভিনেত্রীকে নিজেদের মধ্যে পেয়ে আপ্লুত বাঙালি মহলও – আর কলকাতা থেকে এতদূরে এত সুন্দর আয়োজন দেখে আপ্লুত স্বয়ং অভিনেত্রী থেকে জননেত্রী হয়ে ওঠা লকেট চ্যাটার্জিও। সেই কথাই ফুটে উঠল তাঁর বক্তব্যেও, কি বললেন তিনি? নিজেই দেখে নিন নিচের ভিডিওতে –

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!