এবার ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতিতে নাম জড়ালো প্রভাবশালী বিজেপি নেতার! তুমুল শোরগোল রাজ্য জুড়ে উত্তরবঙ্গ বিজেপি রাজনীতি রাজ্য August 9, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনটি প্রকৃতপক্ষে যে তৃণমূল বনাম বিজেপির লড়াই হতে চলছে , সেদিকে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। কারণ, প্রকৃতপ্রস্তাবে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করার অবস্থায় এখন শুধু বিজেপিই আছে, রাজ্যের বাম-কংগ্রেস শক্তি অনেকটাই ক্ষয়িষ্ণু ও দুর্বল। আর আগামী নির্বাচনে শাসকদল দুর্নীতির অভিযোগে মাত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। ইতিমধ্যেই শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে রাজ্য বিজেপি। সারদা, নারদ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক অম্ফান দুর্নীতির অভিযোগে যখন শাসকদলকে চেপে ধরার পরিকল্পনা করছে রাজ্য বিজেপি, ঠিক সেসময়ই দুর্নীতির দায়ে জড়িয়ে গেলেন বিজেপির জনৈক প্রভাবশালী নেতা। সংবাদসূত্রে জানা গেছে, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের অন্তর্গত সাকোয়াঝোরা-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিজেপির জনৈক প্রভাবশালী সদস্য কমল রায়ের নামে উঠে এলো ১০০ দিনের কাজে আর্থিক তছরুপের বিরাট অভিযোগ। তাঁর নামে ওঠা এই আর্থিক অভিযোগের বিষয়ে কমবাবুকে জানিয়ে তাঁকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল সাকোয়াঝোরা-২ নম্বর পঞ্চায়েত কতৃপক্ষ। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা এই আর্থিক তছরুপের চিঠির জবাব দিতে গতকাল শুক্রবার পঞ্চায়েত অফিসে গিয়েছিলেন কমল রায়। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু বিজেপি কর্মীও এদিন উপস্থিত ছিলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গন্ডগোলের আশঙ্কায় এদিন পঞ্চায়েত অফিসের বাইরে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ বাহিনীও নিযুক্ত করা হয়েছিল। কমল বাবুর বিরুদ্ধে ওঠা এই আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ প্রসঙ্গে সাকোয়াঝোরা-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী স্বপ্না রায় জানিয়েছেন, ” ১৫/২০৯ বুথে ১০০ দিনের একটি প্রকল্পে গরমিলের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। এলাকার বেশকিছু লোকজন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, তিনি কাজ না করে টাকা তুলে নিয়েছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত সদস্য কমল রায়কে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এদিন তাঁর কাছ থেকে মৌখিক বিবরণ শুনেছি। আগামী বোর্ড মিটিংয়ে আমরা এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।” তবে, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক প্রতারণার এই অভিযোগকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন কমল বাবু। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ” আমার বিরুদ্ধে জানি না কে অভিযোগ করেছেন। তবে ওই অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন।” প্রসঙ্গত, কমল বাবু দোষী না নির্দোষ তার প্রমান সময় স্বাপেক্ষ। কিন্তু, দুর্নীতির অস্ত্রে সান দিয়ে যখন রাজ্য বিজেপি শাসকদল বধের চেষ্টায় মত্ত, সেসময়ে বিজেপি নেতা কমল বাবুর বিরুদ্ধে ওঠা এই আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রাজ্য বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দলকে অনেকটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিল বলে অভিমত রাজনীতি মহলের। আপনার মতামত জানান -