এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জেএনইউ কান্ডে দীপিকার পাশে দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, জোর চাঞ্চল্য

জেএনইউ কান্ডে দীপিকার পাশে দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, জোর চাঞ্চল্য


সম্প্রতি দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতের অন্ধকারে পড়ুয়াদের ওপর হামলার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা শুরু করে। দুষ্কৃতীদের হামলার ঘটনায় আহত হন দিল্লি ইউনিভার্সিটির ছাত্রী তথা ছাত্রসংসদের নেত্রী ঐশী ঘোষ। সম্প্রতি জেএনইউতে প্রাক্তনী এবং শিক্ষক সংগঠনের প্রতিবাদ সভা ছিল। এই ঘটনার কারণে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র সংসদের আহত নেত্রী ঐশী ঘোষ সহ প্রতিবাদী ছাত্রছাত্রীরা। সাথে ছিলেন কানহাইয়া কুমার। সে সময় যখন কানহাইয়া কুমার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে আজাদির স্লোগান তুলছিলেন, তখনই দেখা যায় তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে আছেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। এবং সঙ্গে সঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে তীব্র আক্রমণ শুরু হয় দীপিকাকে।

জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বিজেপির তীব্র আক্রমণের মুখে পড়েন দীপিকা পাড়ুকোন। রীতিমতো দীপিকা পাড়ুকোনকে হুমকি দেওয়া চলে সোশ্যাল মিডিয়ায় গেরুয়া শিবির থেকে। যখন এহেন ধমকি চলছে দীপিকার প্রতি, এমনকি তাঁর ছবি ছপককে বয়কট করার দাবি উঠেছে, ঠিক সে সময় কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয় সম্পূর্ণ অন্য কথা বললেন। তিনি জানালেন, দীপিকার একজন গুনমুগ্ধ তিনি। তাই দীপিকা পাড়ুকোনের সম্পর্কে যারা কুকথা বলছে তাদের তীব্র নিন্দা করেন তিনি।

জেএনইউতে হামলার প্রতিবাদে দীপিকা পাড়ুকোনের বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আহতর পাশে দাঁড়ানোয় ক্ষোভে ফেটে পড়ে গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত জানা যায়, তিনি তার নতুন নির্মিত ছবি ছপক এর প্রমোশনের জন্য দিল্লি গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকেই তিনি জেএনইউ হোস্টেল ক্যাম্পাসে যান। এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম বিরোধী পোস্ট হতে শুরু করে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। এমনকি তাঁর ছবি ছপককে বয়কট করার ডাক দেয় গেরুয়া শিবির। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়, ছপক সিনেমাটিতে মূল তথ্যটিকে বিকৃত করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ছপক সিনেমাটি নিয়ে পূর্বে বাবুল সুপ্রিয়ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তিনি ছবিটির পরিচালক মেঘনা গুলজারকে সম্পূর্ণরূপে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে উক্তি করেছিলেন। বিজেপির দাবি ছিল, ছপক সিনেমাটিতে যে দোষী, তাকে হিন্দু হিসেবে দেখানো হয়েছে। বাস্তবে সে হচ্ছে মুসলমান। সেই কথার সুর ধরে বাবুল সুপ্রিয় বলেছিলেন, ধর্ম নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য যদি দোষীর নাম বদলে যায় সিনেমাটিতে অর্থাৎ তথ্য বিকৃত হয়, তাহলে সেই পরিচালক যথারীতি দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ভন্ড। সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠমহলে বাবুল সুপ্রিয় বলেছিলেন, দীপিকার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন যাঁরা জেএনইউতে, তাঁরাই আসল দোষী প্রমাণিত হয়ে গেছে।

কিন্তু সরাসরি তিনি দীপিকা পাড়ুকোনের দিকে কোনরকম অভিযোগের তীর নিক্ষেপ করেননি। কিন্তু এদিন সম্পূর্ণ ঘুরে গিয়ে অন্য কথা বললেন বাবুল। সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের একটি সভা থেকে বাবুল সুপ্রিয় দীপিকাকে সমর্থন করে তাঁর বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি দীপিকার খুব বড় ভক্ত। ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ দেখার পরই আমি তো আমার ছোটমেয়ের নাম নয়না রেখেছি। যদি কেউ দীপিকাকে কুরুচিকর কোনও কথা বলে বা হেনস্তা করে, তবে আমি তার নিন্দা করছি। ওঁর বিরুদ্ধে কোনও খারাপ কথা বলা উচিত নয়।’ এদিন ছত্তিশগড়ের এই সভাটিতে বাবুল সুপ্রিয় সিএএ সমর্থনে তাঁর বক্তব্য রাখেন।

প্রসঙ্গত, এর আগেও দীপিকা পাড়ুকোনকে বিভিন্নভাবে রোষের মুখে পড়তে হয়েছে। এর আগে পদ্মাবত ছবি ঘিরেও কর্ণি সেনারা তুমুল বিক্ষোভ করেছিল। এমনকি দীপিকার নাক কেটে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। সেবারেও তাঁর ছবি বয়কট করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে ছবি বয়কট নিয়ে এখনো পর্যন্ত দীপিকা পাড়ুকোনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাধীন দেশে যে কেউ তাঁর নিজস্ব মতামত জানাতে পারে। নিজস্ব মতামত জানালে তাঁকে যদি হুমকির মুখে পড়তে হয়, তাহলে সেই স্বাধীনতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থেকে যায়। আপাতত দীপিকা অভিনিত ছপক সিনেমাটি রিলিজ করেছে। তাই সে দিকেই নজর এখন আপামর ভারতবাসীর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!