এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার অনুব্রতর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন তৃণমূলের বিধায়ক, জেনে নিন

এবার অনুব্রতর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন তৃণমূলের বিধায়ক, জেনে নিন


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে দলের কেউ তো দূরের কথা, বিরোধীদের অনেকেই মুখ খুলতে ভয় পান। চরাম চরাম ঢাক থেকে শুরু করে গুড় বাতাসার কথা বলে মাঝেমধ্যেই ধমক দিয়ে রাখেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। এক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে নির্বাচনের সময় ওঠা অভিযোগের সংখ্যা নেহাত কম নয়। কিন্তু সেই অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কেই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

যেখানে বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডলের অধীনে তার পক্ষে কাজ করা কোনোমতেই সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই দলের তরফে অনুব্রত মণ্ডল দায়িত্ব পেলেও, যেভাবে মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন, তাতে তৃণমূল নেতৃত্ব ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই গোটা ঘটনায় তৃণমূলের অন্তর্কোন্দল যে প্রকাশ্যে চলে এল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বর্ধমানের পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। আর এরপরই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায় তাকে। তৃণমূল কংগ্রেসের এই মন্ত্রী বলেন, “দল বললে কাজ করতেই হবে। তাহলে আমাকে মঙ্গলকোটে কাজ করার পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। আমি অনুব্রত মণ্ডলের অনুগত হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত নই। এটা আমি পরিষ্কার বলে দিলাম। আমি ওর মেজাজ চিনি। জানি। গত নির্বাচনে তারা কি করেছে, সকলে জানে। সংবাদমাধ্যম জানে। আমি মঙ্গলকোটে গেলে স্বাধীনভাবে কাজ করব। উনি বড় খেলোয়ার। ওনার কথা আমি কী বলব। আমি ওই পর্যায়ের খেলোয়াড় নই। মারামারি করতে চাই না। কেউ করুক, তাও চাই না। এভাবে আমি মঙ্গলকোটে হাত পোড়াতে যেতে পারব না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মঙ্গলকোটের দায়িত্ব দলীয়ভাবে অনুব্রত মণ্ডলকে দিয়েছেন। কিন্তু যেভাবে সেখানকার দায়িত্বে থাকা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে সরব হলেন দলের বিধায়ক তথা মন্ত্রী, তাতে তৃণমূল নেতৃত্বের অস্বস্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পেল। যে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা কার্যত মুখ খুলতে ভয় পায়, সেই অনুব্রত মণ্ডলকে যেভাবে কটাক্ষ করলেন এক হেভিওয়েট মন্ত্রী, তাতে অনুব্রতবাবু অনেকটাই চাপে পড়ে গেলেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এটা নতুন কিছু নয়। অনুব্রত মন্ডলের সাথে এই সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। মাঝেমধ্যেই অনুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে রাজ্যের এই মন্ত্রীকে। কিন্তু এবার সরাসরি প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে যেভাবে অনুব্রত মণ্ডলের অধীনে কাজ করা সম্ভব নয় বলে জেহাদ ঘোষণা করলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

যার ফলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের অস্বস্তি এখানে ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। এই ঘটনায় একদিকে যেমন তৃণমূলের অন্তর্কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল, ঠিক তেমনই বিরোধীরা এই ঘটনাকে নিয়ে হাতিয়ার করে ভবিষ্যতে ইস্যু করতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!