প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আরও একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক রূপে ধরা দিলেন রাজ্য বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির অন্যতম তারকা মুখ ছিলেন এই রুদ্রনীল। ভবানীপুর থেকে তিনি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন এবং কার্যত তিনি হেরে গেছেন। অন্যদিকে রাজ্যে উপনির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা হেতু খুব শীঘ্রই সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে। যার মধ্যেই ভবানীপুর অন্যতম। এবার ভবানীপুরে দাঁড়াবেন সেখানকার পুরনো প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার বিপরীতে আবারও বিজেপির হয়ে প্রার্থী হতে পারেন রুদ্রনীল ঘোষ। এরকম একটি সম্ভাবনা দেখা পাওয়া মাত্রই রুদ্রনীল ঘোষ নেমে পড়েছেন ভোট ময়দানে।

কার্যত ভবানীপুরে প্রথমবারের বড় হার কোনমতেই গায়ে মাখতে রাজি নয় রুদ্রনীল। আর সেকথা ভেবেই এদিন তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ বলে মনে করা হচ্ছে। কার্যত মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে ক্লাবকে অনুদান দেওয়া থেকে, ডোমের চাকরির জন্য উচ্চশিক্ষিতদের আবেদন নিয়ে একের পর এক তোপ দেগেছেন তিনি। এদিন রুদ্রনীল সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেছেন, করোনা এবং ঝড়ের কারণে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এদিকে রাজ্যে ডোমের চাকরির জন্য 8000 আবেদন জমা পড়েছে কয়েকদিনে। কার্যত রুদ্র রাজ্যে বেকার সমস্যাকেই তুলে ধরতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এই দুটি বিষয়কে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে রুদ্রনীল ঘোষ রাজ্য সরকারকে তথা মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। পাশাপাশি এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, 25000 ক্লাবকে 5 লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কার্যত বাংলার সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকা এভাবে বিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে রুদ্র অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি বাড়ি তৈরি বা উন্নয়নের টাকা চুরি হওয়ার দিকেও ইঙ্গিত করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে রুদ্রনীল ঘোষ ভোট পরবর্তীকালে আরো একবার সরব হয়েছেন রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

তবে তিনি ভোটে দাঁড়াবেন কিনা কিংবা বিজেপির হয়ে আরও একবার টিকিট পাবেন কিনা সে সম্পর্কে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব যেমন মুখ বন্ধ রেখেছে, ঠিক সেরকমই রুদ্রনীল ঘোষও কিছু জানাননি। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও রুদ্রনীলের সোশ্যাল মিডিয়ায় বক্তব্য নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এর কাছে রুদ্রনীল হেরে গিয়েছে ভবানীপুরে। সে জায়গায় ভবানীপুরের ঘরের মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাঁড়ালে রুদ্রনীল ঘোষ যে আরো বড়ো আকারে হারতে পারেন সে কথা কিন্তু নিশ্চিন্তে বলা যায়।