এবার আসতে চলেছে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ, স্বাস্থমন্ত্রীর ঘোষণায় বাড়ছে আতঙ্ক ! অন্যান্য জাতীয় শরীর-স্বাস্থ্য November 9, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে ক্রমাগত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৩ সে জুন দিল্লিতে প্রথম কোভিড ওয়েভ শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল। সেদিন দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪৪৭৩ জন। আবার গত শনিবার দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হলেন ৬৯৫৩ জন। তবে গত শুক্রবার দিল্লিতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭১৭৮ জন। করোনা সংক্রমণ কালে দিল্লিতে একদিনে এটাই করোনা আক্রান্তর রেকর্ড। এদিকে গত পাঁচ দিন ধরে প্রতিদিন দিল্লিতে ৬ হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে, অল্প কিছুদিন আগেই গত ২৯ সে অক্টোবর থেকে দিল্লিতে প্রতিদিনের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজারের কাছাকাছি ছিল। সম্প্রতি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়, তা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। তবে, এ প্রসঙ্গে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন আজ রবিবার জানালেন যে, দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা খুব শীঘ্রই কমে আসবে দিল্লিতে। এদিকে ব্যাপকহারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে দিল্লির হাসপাতালগুলোতে বেডের অভাব শুরু হয়েছে। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে দিল্লিতে। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলোর আইসিইউতে পর্যাপ্ত বেডের অভাব দেখা দিচ্ছে। দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, সরকারি হাসপাতালে ৮০ শতাংশ বেড করোনা রোগীদের জন্য সংরক্ষণ করা হবে। তবে দিল্লি হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের উপরে। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানালেন যে, দিল্লিতে করোনা রোগীদের জন্য সম্প্রতি ১১৮৫ টি বেড বাড়ানো হয়েছে। যার মধ্যে আইসিইউ বেডের সংখ্যা ১১০টি । আবার মোট বেডের ৬৮৫ টি আছে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে। তিনি আরো জানিয়েছেন যে, দিল্লি হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন তাঁরা। অনেকেই মনে করছেন দিল্লিতে দূষনের জন্য বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। যদিও একথা মেনে নেননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, সম্প্রতি অনেকেই মাস্ক পড়ছেন না। মানছেন না সামাজিক দূরত্ব বিধি। এই কারনে বাড়ছে দিল্লিতে করোনার সংক্রমণ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - দিল্লিবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানালেন, ” আনলক পর্বে সংক্রমণ বেড়েছে। এখন উত্সবের মরসুম চলছে। অনেকে বাজার করতে বেরোচ্ছেন। বাজারে যথেষ্ট ভিড় আছে। আমি শহরের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছি, যতদিন ভ্যাকসিন না মাস্ক পরতে ভুলবেন না। মাস্ককেই ভ্যাকসিন বলে মনে করুন।” স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথায়, দিল্লিতে আসতে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। যা মোকাবিলার জন্য তৎপর হতে বললেন তিনি সকলকে। অন্যদিকে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বা এনসিডিসির পক্ষ থেকে অক্টোবর মাসে দিল্লি সরকারকে সতর্ক করা হয়েছিল। শীতে করোনার সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এদিকে শীতকালে দিল্লিতে শ্বাসকষ্টতে জর্জরিত হন বহু মানুষ। আবার উৎসবের সময় বহু মানুষ বাইরে থেকে দিল্লিতে এসেছেন। তাই আগামীতে প্রতিদিন ১৫ হাজার করে মানুষ করোনা আক্রান্ত হবেন ধরে নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে নীতি আয়োগের সদস্য তথা চিকিৎসক ভি কে পালের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি এক্সপার্ট গ্রুপ গঠন করা হয়েছিল। এই গ্রূপের নির্দেশেই দিল্লিকে সতর্ক হবার কথা জানিয়েছিল এনসিডিসি। এনসিডিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, করোনা আক্রান্তদের এক পঞ্চমাংশের শরীরে করোনা সংক্রমণ মাঝারি বা গুরুতর হবে। তাই তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। দিল্লি সরকার যেন এই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকে। রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছিল যে, দিল্লিতে করোনাতে মৃত্যুর হার ১.৯ শতাংশ। যা দেশের গড়ের তুলনায় কিছুটা বেশি। দেশে ১.৫ শতাংশ করোনায় মৃত্যুর হার। বস্তুত, করোনায় মৃত্যুর হার কমাতে পারলেই মহামারী নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করা যাবে। আপনার মতামত জানান -