প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শোনা গিয়েছিল ‘খেলা হবে’ স্লোগান। আর সেই স্লোগানকে সর্বভারতীয় মঞ্চে তুলে নিয়ে গেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত একুশে জুলাইকে কেন্দ্র করে 24 এর লড়াইয়ের ডাক দিলেন তিনি। আর বিজেপিকে দিল্লীর মসনদ থেকে নামানোর লক্ষ্যে সেই ‘খেলা হবে’ স্লোগানটি শোনা  গেল নেত্রীর কন্ঠে। কার্যত এদিন শহীদ দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই তিনি বিজেপিকে ভারত ছাড়া করতে প্রতিটি রাজ্যের খেলা হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন। কার্যত গেরুয়া শিবিরকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন হাইলোডেড ভাইরাস পার্টি বলেও কটাক্ষ করেছেন।

কার্যত বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আগামী লক্ষ্য, 24 এর লোকসভা নির্বাচন। কার্যত দিল্লি থেকে মোদী শাসনের অপসারণ করতে তিনি উদ্যত হয়েছেন। বুধবার সেই বার্তাই সর্বভারতীয় স্তরে পৌঁছে দিলেন তৃণমূল নেত্রী একুশে জুলাইয়ের শহীদ মঞ্চ থেকে। যে ‘খেলা হবে’ স্লোগানকে কেন্দ্র করে বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল, সেই ‘খেলা হবে’ স্লোগানটি ভার্চুয়ালি জাতীয় স্তরে পৌঁছে দিলেন আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতির জন্য এবারেও ভার্চুয়ালি আয়োজন করা হয়েছে একুশে জুলাইয়ের।

সেই অনুষ্ঠান থেকেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, বিজেপিকে ভারত থেকে না তাড়ানো অব্দি ‘খেলা হবে’। একই সাথে গেরুয়া শিবিরকে একের পর এক কটাক্ষ করেছেন তিনি। পাশাপাশি তীব্র আক্রমণও জারি রেখেছেন। এদিন বিজেপিকে হাইলোডেড ভাইরাস পার্টি বলেও উল্লেখ করেন তৃণমূল নেত্রী। পাশাপাশি এজেন্সিকে কাজে লাগানোর জন্য বিজেপিকে তিনি তুলোধোনা করেন। একইসাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে পেগাসাস বিতর্কও তুলে এনেছেন। বিজেপি শুধু স্পাইগিরি করতে পারে, এভাবে জয় পাওয়া যাবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন গেরুয়া শিবিরকে।

অন্যদিকে বাংলায় করোনা বিপর্যয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী দায়ী করেছেন বিজেপিকে। কার্যত তিনি অভিযোগ করেন 8 দফা বিধানসভার ভোট করিয়ে নিয়মিত দিল্লি থেকে রাজ্যে এসেছেন মোদী-শাহ। যার জেরে রাজ্যের সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে। একই সাথে ভ্যাকসিন নিয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে আজকের ভাষণে বরাবরের মতন তৃণমূল কর্মীদের দলবদ্ধ হয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন নেত্রী। একই সাথে মানুষের পাশে থাকার কথাও তিনি বলেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় স্তরে যেভাবে ‘খেলা হবে’ স্লোগানকে আবার তুলে ধরলেন তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতেই বোঝা গিয়েছিল ‘খেলা হবে’ স্লোগানটি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই সেক্ষেত্রে দেখার জাতীয় রাজনীতিতে ‘খেলা হবে’ স্লোগান কতটা কাজ করতে পারে তৃণমূলের হয়ে। পাশাপাশি বিজেপির স্লোগানকে বাংলায় ‘খেলা হবে’ টক্কর দিতে পারলেও কার্যত জাতীয় রাজনীতিতে বাংলা স্লোগান কতটা গেরুয়া স্লোগানকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।