প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত সোমবার নারদা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। সোমবার রাতেই হাসপাতালে পৌঁছে যান অসুস্থ হয়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। এতদিন পর্যন্ত তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা চলছে। গতকাল হাইকোর্ট থেকে চার নেতাকে গৃহবন্দী থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সেই নির্দেশ অনুসারে প্রেসিডেন্সি জেলে থাকা ফিরহাদ হাকিম যথারীতি বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু বাকি তিন নেতা এই মুহূর্তে এসএসকেএম হাসপাতালেই রয়েছেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বেরোনোর জন্য এবার আবেদন জানালেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, তিনি আইনজীবী মারফত হাসপাতাল এবং জেল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঁচটি চিঠি পাঠিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, তিনি সুস্থ। অন্যদিকে সূত্রের খবর, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখার জন্য ইতিমধ্যে একটি মেডিকেল বোর্ড তৈরি হয়েছে। এবং সেই বোর্ড এই তিন নেতাকে এখনই বাড়ি ছেড়ে দিতে রাজি নয়। কিন্তু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁরা রিস্ক বন্ড সই করে বাড়ি ফিরতে চান। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, জোর করে এসএসকেএম-এ আটকে রাখা হচ্ছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।

যে চিকিৎসা ব্যবস্থা এসএসকেএম-এ হয়েছে, সেই একই চিকিৎসা ব্যবস্থায় শোভন চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে থাকতে পারবেন। পাশাপাশি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বড় অভিযোগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জোর করা হচ্ছে তাঁর পর্ণশ্রীর বাড়িতে ফেরার জন্য। অর্থাৎ যে বাড়িতে রত্না চট্টোপাধ্যায় তাঁর ছেলেমেয়েকে নিয়ে থাকেন। প্রসঙ্গত, এই শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নারদা মামলায় গ্রেফতারের পর থেকে কিন্তু এসএসকেএম-এ রেখে চিকিৎসার পক্ষেই সওয়াল তুলেছিলেন।

তাহলে হঠাৎ করে এই সুর বদলের কারণ কি? পাশাপাশি বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তুলনা টেনেছেন। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক মহলের একাংশ ব্যাপক কটাক্ষ করেছেন শোভন-বৈশাখীকে। সব মিলিয়ে শোভন-বৈশাখী নতুন করে আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। অন্যদিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা বারণ থাকলেও শোভন চট্টোপাধ্যায় কিন্তু হাসপাতালের জানলা থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। সব মিলিয়ে আগামী দিনে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বড়োসড়ো আইনি জটিলতায় পড়তে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।