এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > এবার বেসুরো হলেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম হেভিওয়েট সাংসদ, তীব্র অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে

এবার বেসুরো হলেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম হেভিওয়েট সাংসদ, তীব্র অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরে আসার পর থেকে একের পর এক বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক ধীরে ধীরে বেসুরো হয়ে উঠতে শুরু করেছেন এবং এই বেসুরো হওয়া যে গেরুয়া শিবিরের ভাঙনের দিকে ইশারা করছেণ তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। নিচুতলার বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা অবশ্য ইতিমধ্যেই দলবদল শুরু করে দিয়েছেন, যা গেরুয়া শিবিরের সাংগঠনিক ক্ষতি করছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এবার যেভাবে হেভিওয়েট সাংসদ দলবিরোধী মন্তব্য করলেন, তা তীব্র অস্বস্তিতে ফেলেছে গেরুয়া শিবিরকে। সম্প্রতি বিস্ফোরক হয়েছেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাংসদ সুনীল মণ্ডল।

বর্ধমান পূর্বের বিজেপি সাংসদ সুনীল মন্ডল এবার কার্যত ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, তৃণমূল থেকে আগত প্রার্থীদের কোনদিনই বিশ্বাস করেনি বিজেপি। একই সাথে কাউকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করা হয়নি বলে দাবি করেছেন সুনীল মণ্ডল। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন সুনীল মন্ডলের এই দাবির সঙ্গে কোথাও একটা অমিল থেকে যাচ্ছে বাস্তবের। কারণ, তৃণমূল থেকে আসা নেতা হলেন শুভেন্দু অধিকারী যাকে বিরোধী দলনেতার আসনে বসানো হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই সুনীল মণ্ডল যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। আর তাই নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি সাংগঠনিকভাবে বড় দল বলে জানতেন তিনি আর তাই বিজেপিতে এসেছিলেন।

কিন্তু দল ছাড়া মাত্রই যেভাবে দলত্যাগকারীদের আক্রমণ করা হচ্ছে তা যথেষ্ট অন্যায় বলে জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়েও তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষ 2019 এর পরে যারা বিজেপিতে যোগদান করেছেন তাদের মনেপ্রাণে বিজেপি হয়ে ওঠা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। আর এই কথা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংসদ সুনীল মণ্ডল। একই সাথে বাংলায় বিজেপি হারের পেছনে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বকেই নিশানা করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, বাইরে থেকে এসে বাংলাকে বোঝা অসম্ভব। একই সাথে ভাষাগত সমস্যা নিয়েও তিনি সরব হয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়েও ক্ষোভের প্রকাশ হয়েছে তাঁর কথায়। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার এক অক্ষরও মানেননি। এক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 50 হাজার ভোটে না হারাতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবার কথা বলেছিলেন শুভেন্দু। সুনীল মণ্ডল হয়তো সেই প্রতিশ্রুতির কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছেন। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, সুনীল মন্ডলের হঠাৎ করে বেসুরো হওয়ার একটাই কারণ, তিনি তৃণমূলে ফেরত আসতে চাইছেন। আর এই নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দিক থেকে সুনীল মন্ডলের কোন মানদন্ড নেই। স্বার্থের জন্যই তিনি বিজেপিতে গিয়েছিলেন।

এখন কিছু না পেয়ে ফেরত আসতে চাইছেন। কার্যত কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সুনীল মণ্ডলকে সুবিধাবাদী বলে কটাক্ষ করেছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, রাজ্যে যদি দলবিরোধী আইন লাগু হয় সেক্ষেত্রে সুনীল মণ্ডল কিংবা শিশির অধিকারী পড়বেন অসুবিধায়। কারণ তাঁদেরও একই আইনে সাংসদ পদ ছাড়তে হবে। সেক্ষেত্রে সুনীল মন্ডলের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গেলে রাজনৈতিকভাবে তাঁর ক্ষমতা সীমিত হয়ে যাবে বলেই তিনি তৃণমূলে ফেরত আসতে চাইছেন। আপাতত গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে বেসুরো সুনীল মণ্ডলের পরিপ্রেক্ষিতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেও নজর থাকবে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!