এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার ভাঙনের জেরে কার্যত বিপাকে পড়তে চলেছেন বিহারের অন্যতম রাজনৈতিক নেতা, তীব্র চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে

এবার ভাঙনের জেরে কার্যত বিপাকে পড়তে চলেছেন বিহারের অন্যতম রাজনৈতিক নেতা, তীব্র চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিহার রাজনীতিতে আবারও চমক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী শক্তিকে কোণঠাসা করার জন্য চিরাগ পাসওয়ান হাত মিলিয়েছিলেন নীতীশ কুমারের সঙ্গে। তাঁর দল এলজেপি নিতিশ কুমারকে সমর্থন জানিয়েছিল। অখিলেশ যাদবের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই সেক্ষেত্রে কোন কাজে দেয়নি।

কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বর্তমানে এলজেপি শিবিরে রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ পাসোয়ান পরিণত হয়েছেন ভিলেনে। তাঁর দল ভেঙে পড়ার মুখে। এতদিন পর্যন্ত এলজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির পদে ছিলেন চিরাগ পাসওয়ান। কিন্তু সোমবার সকালে তাঁর দলের 6 সাংসদের মধ্যে পাঁচজনই কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে।

সূত্রের খবর, এই বিদ্রোহীদের পেছনে রয়েছেন চিরাগ পাসোয়ানের কাকা পশুপতি কুমার পরশ। জানা যাচ্ছে, যেনতেন প্রকারেণ চিরাগ পাসওয়ানকে শীর্ষ নেতৃত্বের পদ থেকে সরানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি চিরাগের হাতে অন্যান্য যে পদগুলি আছে, সেগুলিও এবার একে একে নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

অন্যদিকে চিরাগ পাসোয়ান বিদ্রোহীদের সঙ্গে কথা বলে সবকিছু মিটমাটের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এক্ষেত্রে তিনি নিজে দলের সভাপতির পদ থেকে সরে গিয়ে তাঁর মাকে এলজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে বসানোর কথা বলেন। কিন্তু এই প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। বিদ্রোহী সাংসদরা ও নেতারা যে পশুপতি কুমার পরশকে নিজেদের নেতা বলে মেনে নিয়েছেন সে কথাই প্রকাশ্যে এসেছে।

অন্যদিকে আর কোন রাস্তা না পেয়ে চিরাগ পাসওয়ান শেষ পর্যন্ত পশুপতি কুমারের বাড়ি এসে পৌঁছান। কিন্তু জানা গেছে, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পরেও পশুপতি কুমার পরশ কিংবা তাঁর ছেলে বিদ্রোহী নেতা প্রিন্স রাজ চিরাগের সঙ্গে দেখা করেননি। অন্যদিকে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা কে ইতিমধ্যেই বিরোধী সাংসদরা জানিয়ে দিয়েছেন, চিরাগ তাঁদের সংসদীয় দলের নেতা নন। সেক্ষেত্রে তারা বেছে নিয়েছেন পশুপতি কুমার পরশকে। স্পিকারও বিদ্রোহী সাংসদদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বলে খবর। প্রসঙ্গত জানা যায়, রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর পর থেকেই কাকা পশুপতি কুমার পরশের সঙ্গে ক্রমাগত ঝামেলা শুরু হয় চিরাগ পাসওয়ানের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরইমধ্যে চিরাগ পাসওয়ান দলের জাতীয় সভাপতির পদ দখল করেন। আর তাই নিয়েই কাকা ভাইপোর বিবাদ অন্য মাত্রায় উত্তীর্ণ হয়। অন্যদিকে এই পরিস্থিতির পূর্ণ সুযোগ নিচ্ছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জেডিইউ এর নীতীশ কুমার। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নীতীশ কুমারের অনুগামীরা এলজেডির অন্যান্য বিরোধী বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, বিহারে এলজেডির বিদ্রোহী সাংসদরা জেডিইউ এর সমর্থন বাড়াতে চলেছে।

অন্যদিকে পশুপতি কুমার পরশ অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁদের দলে এখনো পর্যন্ত 6 জন সাংসদই আছেন। পাশাপাশি চিরাগের সঙ্গে তাঁর যে বিবাদ সেটিও তিনি অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি নিতিশ কুমারকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে প্রশ্ন উঠেছে, যদি এলজেডিতে ভাঙন লাগে, সেক্ষেত্রে চিরাগ পাসোওয়ানের রাজনৈতিক জীবনে কি দাঁড়ি পড়তে চলেছে? এটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিহারের রাজনীতিতে নতুন মোড় আসতে চলেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!