এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার ভাঙ্গন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলেও, দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে দল ছাড়লেন দুই হেভিওয়েট

এবার ভাঙ্গন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলেও, দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে দল ছাড়লেন দুই হেভিওয়েট

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসকদল তৃণমূলে চলছে একের পর এক ভাঙ্গন। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে চলেছে দলের বাঁধন। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এবার দল ছাড়লেন তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট সংখ্যালঘু নেতা। তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম আজ দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে দলত্যাগ করলেন। আবার, আজকের দিনেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের শিক্ষা, তথ্য-সংস্কৃতি ও ক্রীড়া দফতরের কর্মাধ্যক্ষ ফিরোজ কামাল গাজি বা বাবু মাস্টার দলের একাংশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দল ছেড়ে দিলেন।

সম্প্রতি, দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। তৃণমূল ছেড়ে তিনি যোগদান করেছেন বিজেপিতে। এরপর ধাপে ধাপে মন্ত্রিত্ব, বিধায়ক পদ ও দলের সদস্য পদ ছেড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি দল ছেড়ে দিয়েছেন, প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় দল ছেড়ে দিয়েছেন, বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত দল ছেড়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকেই দোল ছাড়লেন। তিনি তাঁর ইস্তফা পত্র তৃণমূলের সংখ্যালঘূ সেলের সভাপতি হাজি শেখ নুরুল ইসলামকে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

দলের প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও তৃণমূল দলে ভোট কুশলী পিকের অত্যন্ত বাড়াবাড়ি নিয়ে দলের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি। তৃণমূল ছেড়ে দেবার পরেই তিনি বিজেপিতে যোগ দেবার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই তিনি থাকবেন। তাঁর পদত্যাগের পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো বক্তব্য রাখা হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর সঙ্গেই আজ তৃণমূল ছেড়ে দিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের শিক্ষা, তথ্য-সংস্কৃতি ও ক্রীড়া দফতরের কর্মাধ্যক্ষ ফিরোজ কামাল গাজি বা বাবু মাস্টার। সম্পত্তি, ভেরির দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলে তীব্র গোষ্ঠী সংঘর্ষ বাধে। যার অভিযোগ তাঁর উপর পড়ে। আবার সন্দেশখালিতে দুজন বিজেপি কর্মী হত্যার ঘটনায় তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, তৃণমূল দলের বেশ কিছু নেতা কর্মী তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে। এরপর তিনি এই অভিযোগেই দলত্যাগ করেছেন।

তৃণমূলের এই সংখ্যালঘু নেতাও বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন বলে, ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। তাঁর পদত্যাগের বিষয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য রাখা হয়নি। এভাবেই ভাঙ্গন ঘটছে তৃণমূল দলে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে দলের এই ক্রমশ ভাঙ্গন শীর্ষ নেতৃত্বকে তীব্র অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে, এমনটাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!