এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার বিধানসভার কমিটিতেও উল্লেখযোগ্য জায়গা করে নিলেন এই দুই তৃণমূল তারকা বিধায়ক

এবার বিধানসভার কমিটিতেও উল্লেখযোগ্য জায়গা করে নিলেন এই দুই তৃণমূল তারকা বিধায়ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল শিবিরে দেখা গেছে বেশ কিছু তারকা মুখ। লড়াইতেও অনেকেই জিতে এসেছেন তাঁদের মধ্যে। সেরকমই দুজন হলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া। নির্বাচনে জেতার পর থেকেই এই দুই তারকা বিধায়ক নিজের নিজের এলাকায় ব্যাপকভাবে কাজ করে চলেছেন বলে জানা যাচ্ছে।

আর তারই পুরস্কারস্বরূপ এবার এই দু’জনকে বিধানসভার দুই গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে জায়গা দেওয়া হলো বলে জানা যাচ্ছে। বিধানসভার তথ্য-সংস্কৃতি সংক্রান্ত আইএনসিএ কমিটিতে জুন মালিয়া ও রাজ চক্রবর্তীকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাজ চক্রবর্তীকে একটু বেশি দায়িত্ব দিয়ে এই কমিটির মাথায় বসানো হয়েছে।

একইসাথে রাজ চক্রবর্তীকে তৃণমূলের সাংস্কৃতিক সেলের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ এবং জুন দুজনেই পেশাগতভাবে সাংস্কৃতিক জায়গার সঙ্গে জড়িত। অন্যদিকে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মধ্যেই কিন্তু যুক্ত রয়েছে ক্রীড়া ও যুব সংগঠন। সেক্ষেত্রেও এই দুই বিধায়ক ব্যাপকভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করছেন। প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর থেকে জিতেছিলেন রাজ চক্রবর্তী।

এই লড়াই অন্যতম কঠিন লড়াই ছিল রাজের কাছে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে জুন মালিয়া জিতেছেন জঙ্গলমহল থেকে। সেখানেও তাঁর লড়াই যথেষ্ট কঠিন ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ গত লোকসভা নির্বাচনে এই জঙ্গলমহল কিন্তু পুরোপুরি অধিকার করে নিয়েছিল গেরুয়া শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দুজনের লড়াই এবং কাজকেই স্বীকৃতি দেওয়া হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। জানা যাচ্ছে, রাজ চক্রবর্তীকে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর সম্ভাবনাময় মুখ রয়েছে সেক্ষেত্রে যদি ক্রীড়াক্ষেত্রে উন্নতি করা যায় তাহলে সামাজিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়া যাবে।

অন্যদিকে জুন মালিয়াও প্রায় একই কথা বলেছেন। একই সাথে তিনি জানান, তাঁর বিধানসভা এলাকায় অর্থাৎ জঙ্গলমহলের আদিবাসী ছেলেমেয়েদের মধ্যে দক্ষতা রয়েছে খেলাধুলায়। কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগের অভাবে প্রতিভা নষ্ট হচ্ছে। তাই এবার কমিটির মাধ্যমে প্রতিভার যোগ্য সম্মান দেওয়া হবে বলেই মনে করছেন 2 বিধায়ক।

একই সাথে তাঁরা জানিয়েছেন, পরিকাঠামোর উন্নতির কাজ আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রসঙ্গত বিধানসভায় 41 টি কমিটি রয়েছে, যেখানে সরকার ও বিরোধী দুই পক্ষের সদস্যরাই জায়গা পান। তবে মনে করা হচ্ছে, তারকা বিধায়করা যে কমিটিতে থাকবেন সেই কমিটির আকর্ষণ কিন্তু আলাদাই হবে। আপাতত তথ্য সংস্কৃতি বিভাগ এবং ক্রীড়া ও যুব সংগঠনকে আরও উন্নত করার ব্যাপারে এই দুই তারকা বিধায়ক কি পরিকল্পনা গ্রহণ করেন সেদিকেই থাকবে নজর। পাশাপাশি বাংলাজুড়ে ক্রীড়া প্রতিভার অধিকারীরা কতটা সুযোগ পান সেটাও দেখার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!