এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার বিহারেও কি নীতিশের সঙ্গে ভাঙতে চলেছে বিজেপির জোট? বাড়ছে জল্পনা!

এবার বিহারেও কি নীতিশের সঙ্গে ভাঙতে চলেছে বিজেপির জোট? বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- হাতে আর মাত্র দুটি বছর। তার পরেই 2024 সালে দেশের লোকসভা নির্বাচন। তৃতীয়বারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরতে এখন থেকেই প্রতিটি রাজ্যের জনমত নিজেদের দিকে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতিমধ্যেই বিজেপিকে চাপে ফেলতে বিরোধী মহাজোট তৈরি করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে একাধিক বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। স্বভাবতই নিজেদের মতো করে বিজেপিও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। আর তার মাঝেই এবার বর্ণভিত্তিক জনগণনা নিয়ে বিজেপির সঙ্গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বনিবনা হচ্ছে না বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় চাইলেও, এখনও পর্যন্ত সেই ব্যাপারে তার কাছে কোনো সদুত্তর আসেনি। যার ফলে তিনি কিছুটা হলেও হতাশ বলে দাবি করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এই বিষয় নিয়ে তৎপরতা গ্রহণ করলেও, তাকে খুব একটা মানতে নারাজ বিহারের জনতা দল ইউনাইটেডের সঙ্গে জোটে থাকা ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বভাবতই গোটা বিষয়টি নিয়ে ভবিষ্যতে এই দুই রাজনৈতিক দলের জোটে ফাটল ধরতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে একাংশের মধ্যে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিহারে নীতীশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইটেডের সঙ্গে জোট রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির। কিন্তু জোটসঙ্গী হলেও নীতীশ কুমারের পক্ষ থেকে যে বর্ণভিত্তিক জনগণনার কথা বলা হচ্ছে, তাতে খুব একটা খুশি নয় গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে একটি বৈঠক হলেও সেখানে বিজেপির কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত হয়নি। যার জেরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। অনেকে বলছেন, 2024 সালের আগে যদি এই রকম পরিস্থিতি চলতে থাকে, তাহলে সেই জোটে ফাটল ধরতে পারে। যার জেরে লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বিহার নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বের বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এদিন তিনি বলেন, “বর্ণভিত্তিক জনগণনায় কিছু মানুষ ক্ষুব্ধ হবে, এই কথাটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। জনগণনা হবে কিনা, তা সম্পূর্ণরূপে কেন্দ্রের ওপর নির্ভর করছে। আমাদের কাজ, কেবল নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি সামনে আনা‌। একবর্ণের মানুষজন এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করবেন, আর এক বর্ণের মানুষ নয়, এটা ভাবা উচিত নয়। কারণ, সকলের স্বার্থেই জনগণনা করা হবে। যদিও বা তার এই দাবির বিপক্ষেই কথা বলতে দেখা গিয়েছে জোটসঙ্গী বিজেপির অন্যতম নেতা সঞ্জয় জয়সওয়ালকে।

এদিন তিনি বলেন, “এই ধরনের জনগণনা হলে সমাজের সম্প্রীতিতে প্রভাব পড়তে পারে।” স্বভাবতই জোটসঙ্গী হয়েও বিজেপির পক্ষ থেকে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে, তাতে বিহার নিয়ে যে আগামী দিনে বড় সমস্যা সামনে আসতে পারে, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!