শাহিনবাগ দিয়েছে চরম শিক্ষা! এবার রাস্তা আটকে আন্দোলন করলে চোকাতে হবে চরম মূল্য! জেনে নিন! জাতীয় বিশেষ খবর October 7, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত বছরের শেষ থেকে দেশজুড়ে সংশোধনী নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সারাদেশে বিক্ষোভের আগুন জ্বলতে থাকে ধিকি ধিকি। কিন্তু সবথেকে বেশি প্রতিবাদের আগুন জ্বলে ওঠে দিল্লীতে। প্রতিবাদ বিস্ফোরণের আকার ধারণ করে দিল্লির শাহীনবাগে। একটা সময় রাজধানী দিল্লিতে যেভাবে শাহীনবাগ ঘিরে অশান্তির আগুন জ্বলে ওঠে, তা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে রাজনৈতিক মহল। এদিকে শাহীনবাগের আন্দোলন নিয়ে দিল্লির সাধারণ জনগণও যথেষ্ট প্রতিবাদী হয়ে ওঠে একসময়। কারণ সাধারণ জনগণকে শাহীনবাগ অঞ্চল বন্ধ থাকার দরুন দুই মাস যাবত ব্যাপক যানজটের মুখে পড়তে হয়। অফিস যাত্রীরা দুর্বিষহ যন্ত্রণার মুখোমুখি হন। এই অবস্থায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি করেন অনেকেই। অন্যদিকে শাহীনবাগের বিক্ষোভ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও অবস্থানকারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। আর সেই মামলার জেরে বুধবার শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, আগামী দিনে সাধারণের ব্যবহারযোগ্য কোনো জায়গা আটকে রেখে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখানো যাবে না। দেশের কোন জায়গায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সাধারণের ব্যবহৃত কোন জায়গা আটকালে তা আইনের চোখে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে বলেও সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। এবং এতে বলা হয়, কোন ব্যক্তি অথবা সংগঠন রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখালে এরপর সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তাঁর বা তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একটা সময় সুপ্রিমকোর্ট শাহীনবাগ আন্দোলনের বিরোধিতা না করেও দীর্ঘদিন ধরে এই আন্দোলন-বিক্ষোভ চলায় তার তীব্র সমালোচনা করতে থাকে। মানুষের অসুবিধা হয় যে বিক্ষোভে সেই বিক্ষোভের পক্ষে স্বাভাবিক ভাবেই সুপ্রিম কোর্ট সায় দেয়নি বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে একটা সময়ে সুপ্রিমকোর্ট শাহীনবাগের আন্দোলনকে থামাতে দুই প্রবীণ আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে এবং সাধনা রামাচন্দ্রনকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেয়। এই দুই মধ্যস্থতাকারী শাহীনবাগে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গেও আলোচনা করেন আন্দোলন থামানোর জন্য, কিন্তু তাতেও আশানুরূপ ফল কিছুই বেরোয়নি। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, সুপ্রিম কোর্ট আন্দোলনের বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে তা খুব স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তি এনে দেবে কেন্দ্রীয় শিবিরে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, শাহীনবাগে আন্দোলন যাতে আর কোনদিনও সেভাবে গড়ে উঠতে না পারে সেদিকেই ইঙ্গিত করছে সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায়। আপনার মতামত জানান -