এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার বিজেপি নেতাদের ‘অ্যারেস্ট’ করানোর নিদান অনুব্রতর! নতুন বিতর্কে উত্তাল লালমাটির দেশ!

এবার বিজেপি নেতাদের ‘অ্যারেস্ট’ করানোর নিদান অনুব্রতর! নতুন বিতর্কে উত্তাল লালমাটির দেশ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই গেরুয়া শিবির অভিযোগ জানিয়ে আসছে- রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন সর্বদাই শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করে চলেছে। আর এই নিয়ে পুলিশ প্রশাসনকেও কম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়না। সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে একহাত নেন। তা নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে প্রবল। অন্যদিকে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এদিন প্রমাণ করে দিলেন, পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করানো যায়।

একটি ঘটনার সূত্রে এদিন অনুব্রত মন্ডল পুলিশকে নির্দেশ দিলেন অ্যারেস্ট করার। সোমবার বীরভূমের দুবরাজপুর তিন অঞ্চল নিয়ে বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন ছিল শহরের রবীন্দ্রসদনে। সেখানেই পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথ নিয়ে যখন আলোচনা চলছে, সে সময় মল্লিকা হাজরা নামে এক মহিলা কর্মী অভিযোগ করেন অনুব্রত মন্ডলের কাছে, এক বছর আগে তাঁর বাড়িতে যে বোমাবাজি এবং লুটপাটের ঘটনা হয়েছিল তাতে শাসক দলের নেতারা তাঁর সঙ্গে যেমন যোগাযোগ করেননি, ঠিক তেমনই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

তার পরেই অনুব্রত মণ্ডলের অ্যারেষ্ট করার নিদান। যা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের নিদান ঘিরে বিজেপির কটাক্ষ, ‘‘পুলিশ এমনিতেই শাসক দলের কথা শুনে বেছে বেছে আমাদের দলের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে। এই নিদানের পর সেই দাপট হয়তো আরও বাড়বে।” ঘটনার সূত্রপাত গতবছর জুলাইয়ে। সেসময় বীরভূমের আঁরোয়া গ্রামে রাজনৈতিক সংঘাতে ভাঙচুর, বোমাবাজি হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেই বোমাবাজিতে জখম হন গ্রামের দুই প্রৌঢ়, যারা আবার বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। বিজেপির অভিযোগ ছিল, গ্রামের সেই অশান্তির ঘটনায় ইন্ধন জুগিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী মল্লিকা দেবী। এবং তার বাড়িতে বোমা মারার ঘটনা যেটি তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, সেটি সর্বৈব মিথ্যা। তৃণমূলও সেসময় বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তোলে। বিশাল পুলিশবাহিনী এসে শাসক দলের সমর্থকদের গ্রেফতার করে। বিজেপি জানায়, তাঁদের কর্মীরা বর্তমানে জামিনে রয়েছে।

অন্যদিকে আজকের সভায় তৃণমূল কর্মী মল্লিকা হাজরার অভিযোগ শোনার পর অনুব্রত মণ্ডল ওই মামলাটি নিয়ে খোঁজখবর চালান এবং জেলা সহ-সভাপতি তথা সরকারি কৌঁসুলি মলয় মুখোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন অভিযুক্তদের অ্যারেস্ট করানোর। গেরুয়া শিবিরের দাবি, অনুব্রত মণ্ডল প্রমাণ করলেন, এভাবে শুধুমাত্র মুখের কথায় অ্যারেস্ট করানো যায়। আর তাই এবার প্রশাসন তৎপর হয়ে গেরুয়া শিবিরের লোকজনদের গ্রেপ্তার করবে কিনা সেটাই দেখার। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, প্রশাসনকে অবশ্য যে দল ক্ষমতায় থাকে সেই ব্যবহার করে।

এতে নতুনত্ব কিছু নেই। তবে দুঃখের ব্যাপার, সব দিক থেকে ফ্যাসাদে পড়তে হয় পুলিশকেই। আপাতত অনুব্রত মণ্ডলের অ্যারেস্ট করানোর নিদান নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। আর অনুব্রত মন্ডলের কথার ভিত্তিতে আগামীদিনে যে বাংলার রাজনৈতিক মহলে আবারও বিরোধী শিবির বিজেপি থেকে শাসকদলকে আক্রমণ শুরু হবে তা বলাইবাহুল্য। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসক দল থেকে এধরনের মতামত রাখলে তা অচিরেই তৃণমূলকে ফ্যাঁসাদে ফেলবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!