এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার বিজেপির চিন্তা বাড়াচ্ছে ত্রিপুরা, ইতিমধ্যে দিল্লী তলব দুই বিজেপি নেতাকে

এবার বিজেপির চিন্তা বাড়াচ্ছে ত্রিপুরা, ইতিমধ্যে দিল্লী তলব দুই বিজেপি নেতাকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলার মতোই গেরুয়া শিবিরের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরা। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরাতে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে 2023 সালে। কিন্তু তার আগেই ত্রিপুরায় বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব দলের ভাঙন ক্রমশ চওড়া করছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় হঠাৎই দিল্লিতে হাজির হয়েছেন ত্রিপুরার আইন মন্ত্রী রতন নাথ এবং বিক্ষুব্ধ বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল। একই সময় শাসকদলের দুই শিবিরের নেতা কেন দিল্লিতে হাজির হয়েছেন, তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে। এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন মত উঠে আসছে।

ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের ব্যাখ্যা হল, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের দূরত্ব দলের ইমেজ খারাপ করছে। তাই এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব একটি সমাধান সূত্র খোঁজার চেষ্টায় দলের দুই শিবিরের নেতাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে, ত্রিপুরায় দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য করা হতে চলেছে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ। সেক্ষেত্রে পশ্চিম ত্রিপুরার সাংসদ প্রতিমা মন্ডলের মন্ত্রিসভায় যাওয়া নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সূত্রের খবর, প্রতিমা মন্ডল কার্যত বিপ্লব দেবের অনুগামী বলে পরিচিত। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির ত্রিপুরার সভাপতি পদের দাবিদার।

পাশাপাশি বিধানসভা ভোটে হেরে গেলেও লোকসভা ভোটে তিনি টিকিট পেয়েছেন শুধুমাত্র জনপ্রিয়তার নিরিখে। কার্যত আদিবাসী ভোট পেতে প্রতিমা মন্ডলকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই আলোচনাতেই দিল্লী যাওয়া দুই নেতার। অন্যদিকে আবার ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, বিপ্লব দেবকে নিয়ে যেভাবে ক্ষোভ বেড়ে চলেছে দলের অন্দরে, তাতে অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করার কথা ভাবতেই পারে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে অন্তত 20 জন বিধায়কের অনাস্থা প্রকাশ পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রতিমা মন্ডলের নাম উঠতে পারে বলেও অনেকেই মনে করছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সুদীপ রায় বর্মন ঘনিষ্ঠ রামপ্রসাদ পালকে ডাকার অন্যতম কারণ ড্যামেজ কন্ট্রোল। এই মুহূর্তে বিজেপি যদি ত্রিপুরার দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব বা দলের ভাঙন যদি সামলাতে না পারে, তাহলে আগামী দিনে পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। জানা গেছে, আর কিছুদিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা ত্রিপুরা যেতে চলেছেন।

সেখানেই তিনি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসে আগামী বিধানসভার নির্বাচনের ব্লুপ্রিন্ট ঠিক করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে ত্রিপুরায় বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের পূর্ণ সুযোগ নিতে প্রস্তুত অন্যতম বিরোধীদল সিপিএম। পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। ত্রিপুরায় ধীরে ধীরে জমি শক্ত করছে তৃণমূল। ত্রিপুরা বিজেপি থেকে অনেকেই তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে গেরুয়া শিবির এই মুহূর্তে ত্রিপুরা নিয়ে ব্যাপক চাপে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!