এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার বিজেপির মন্ত্রীসভায় ব্যাপক রদবদল, কারা পাচ্ছেন ঠাঁই আর কারা নিচ্ছেন বিদায়? জল্পনা তুঙ্গে

এবার বিজেপির মন্ত্রীসভায় ব্যাপক রদবদল, কারা পাচ্ছেন ঠাঁই আর কারা নিচ্ছেন বিদায়? জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলায় যখন বিজেপির সংগঠন ভেঙে পড়া নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন, ঠিক সেসময় কেন্দ্রের নতুন মন্ত্রীসভা গঠন নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরে। ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞরা হিসাব-নিকাশ শুরু করে দিয়েছেন কেন্দ্রের রিপোর্ট কার্ডে এ রাজ্যের কোন কোন সাংসদের নাম উঠতে পারে তাই নিয়ে। আর সেখানেই এসেছে চমক। গতবারের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীকে তাঁদের জায়গা থেকে সরে যেতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সে জায়গায় নিজেদের সম্ভাবনাময় হিসেবে তুলে আনছেন নিশীথ প্রামানিক এবং জন বার্লা। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে ব্যাপক সমালোচনা।

সূত্রের খবর, আর কিছুদিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় বড়সড় রদবদল হতে পারে। আর সেই রদবদলের হাত ধরে বাংলা থেকে মন্ত্রীসভায় কারা জায়গা পাবেন, তা নিয়েই এখন আলোচনা তুঙ্গে। তবে সূত্রের খবর, বাংলায় 18 জন সাংসদদের বিধানসভার নির্বাচিত ফলাফল অনুযায়ী তাদের নাম্বার দেওয়া হচ্ছে। আর সেক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে বাদ পড়ছেন বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরী। ইতিমধ্যেই 18 জন সাংসদের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদী বলে জানা গিয়েছে। আর সেই রিপোর্টকার্ডে 18 জনের সাংসদীয় কেন্দ্রের বিধানসভার ফলাফল অনুযায়ী মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়ার সুযোগ মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

2019 এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় গেরুয়া শিবিরের 18 জন সাংসদ সামনে এসেছিলেন। অবশ্য সে সময় অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা পেতে পারেন কেউ কেউ। কিন্তু মোদির মন্ত্রীসভায় শুধুমাত্র প্রতিমন্ত্রী হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরীকে। আর এবার যখন মন্ত্রীসভা সম্প্রসারণের কথা শোনা যাচ্ছে, তখন আবার নতুন করে হিসাব নিকাশ শুরু হয়েছে বাংলায়। সূত্রের খবর, এবারেও পূর্ণমন্ত্রী পাচ্ছেনা বাংলা। তবে নিশীথ প্রামাণিক ও জন বার্লা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নেক নজরে রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে তাঁদের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়লেও ছিঁড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত বাবুল সুপ্রিয় আসানসোলের এবং দেবশ্রী চৌধুরী রায়গঞ্জের সাংসদ। একুশের ভোটযুদ্ধে এই দুই কেন্দ্র মিলিয়ে বিজেপি জিতেছে মাত্র দুটি কেন্দ্রে। খুব স্বাভাবিকভাবে এই ফলাফল মোদী-শাহকে খুশী করতে পারেনি। অন্যদিকে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লার লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার মধ্যে পাঁচটিতে জয় পেয়েছে বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনে। প্রসঙ্গত, বিজেপি উত্তরবঙ্গে 30 টি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের থেকে উত্তরবঙ্গে বিজেপির জয় ব্যাপকভাবে চোখে পড়েছে। মনে করা হচ্ছে, উত্তরবঙ্গের জয়ের পেছনে আদিবাসী ও তপশিলি উপজাতিদের ভূমিকা সব থেকে বেশি।

আর সে ক্ষেত্রে বিজেপির জন বার্লা যে এলাকায় ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছেন, তা অনস্বীকার্য। অন্যদিকে নিশীথ প্রামাণিককেও এবার মন্ত্রীসভায় আনার কথা শোনা যাচ্ছে। কারণ তাঁর কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার কেন্দ্রের ছটিতেই বিজেপি জয় পেয়েছে। একইসাথে নিশীথ প্রামাণিক নিজে তপশিলি সম্প্রদায়ভুক্ত। স্বাভাবিকভাবে নিশীথ প্রামাণিককে এবং জন বার্লাকে যদি মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়, তাহলে সমাজের আদিবাসী ও তপশিলি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিজেপির পক্ষ থেকে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছানো যাবে।

তবে এই মন্ত্রীত্বের দৌড়ে শুধুমাত্র জন বার্লা কিংবা নিশীথ প্রামাণিকই নন, ছিলেন জগন্নাথ সরকার, রাজু বিস্তা, জ্যোতির্ময় মাহাতো, সৌমিত্র খাঁ এবং শান্তনু ঠাকুর। বিভিন্ন কারণে এদের নাম আলোচনা হলেও প্রত্যেকেরই বাদ পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। অন্যদিকে বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীকে প্রতিমন্ত্রী থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেই স্বাভাবিকভাবেই সাংসদ থাকলেও তাঁরা তাঁদের পদমর্যাদা হারাবেন। সেক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে নতুন অন্তর্কলহ শুরু হবার প্রবল সম্ভাবনা দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপাতত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চলেছেন, সে দিকেই নজর রাখছেন সবাই।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!