এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > এবার বৃহত্তর আন্দোলনের পথে প্রাক্তন কামতাপুরিরা! উত্তরবঙ্গে নাজেহাল হওয়ার পথে ঘাসফুল শিবির?

এবার বৃহত্তর আন্দোলনের পথে প্রাক্তন কামতাপুরিরা! উত্তরবঙ্গে নাজেহাল হওয়ার পথে ঘাসফুল শিবির?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উত্তরবঙ্গে এক সময়ে কামতাপুরি আন্দোলন বা কেএলও আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ও গোয়েন্দাদের প্রচেষ্টায় এই আন্দোলন স্তব্ধ হয়। এরপর মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন কেএলও সদস্য ও লিঙ্কম্যান যারা সমাজের মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন, তাদের হোম গার্ডের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সম্প্রতি, বেশকিছু প্রাক্তন কেএলও সদস্য ও লিঙ্কম্যানরা অভিযোগ করেছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী চাকুরীর প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রতিশ্রুতি রাখেনি সরকার। আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি এ ব্যাপারে কোন সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয়, তবে উত্তরবঙ্গ জুড়ে আন্দোলনে নামতে চলেছে প্রাক্তন কেএলও সদস্য ও লিঙ্কম্যানরা। এর ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে উত্তর বঙ্গে যথেষ্ট বিপাকে পড়ার সম্ভাবনা শাসকদল তৃণমূলের।

গতকাল মঙ্গলবার নির্যাতিত রাজবন্দি পরিবার ও সংহতি মঞ্চের সদস্যরা চাকরির দাবি নিয়ে মিছিল করে উপস্থিত হন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপারের অফিসে। পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে তারা বিক্ষোভ করতে গিয়েছিলেন। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের চাকরির ব্যাপারে প্রশাসন যদি কোনো উদ্যোগ না নেয়, তবে বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। গতকাল জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব তাদের সঙ্গে কথা বলার পর তারা বিক্ষোভ থেকে পিছু হটে যান। তবে তাদের চাকরির ব্যাপারে ৭ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে তারা আন্দোলন থেকে পিছু হটছেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল রাজবন্দী পরিবার ও সংহতি মঞ্চের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকার সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন কেএলও সদস্য যারা সমাজের মূলস্রোতে ফিরে এসেছেন, তাদের হোম গার্ডের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিছু প্রাক্তন সদস্য সেই চাকরি পেলেও, অধিকাংশই চাকরি পাননি। তাই সকলেই যাতে চাকরি পান, সে উদ্যেশ্যই এবার তারা প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন।

সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাদের সংগঠনের ৬০০ জন সদস্য এখনো পর্যন্ত চাকরি পায়নি। এই সংগঠনের সদস্য জোৎস্না রায় জানান যে, গতকাল এসপি অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা। তবে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এসপি। তিনি সাতদিন সময় চেয়েছেন। সাত দিনের মধ্যে তিনি যদি কোনো পদক্ষেপ না নেন, তা হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছেন।

গতকাল জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানালেন যে, সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। তবে চাকরির বিষয়টি দেখা হয় উপর মহল থেকে। তাদের তিনি বলেছেন যে, এ বিষয়টি তিনি তাঁর ঊর্ধ্বতন অফিসারদের নজরে আনতে চলেছেন। সাতদিন পর অফিসে এসে এ বিষয়ে তাদের খোঁজ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কেএলওর প্রাক্তন সদস্যরা যদি আন্দোলনে নামেন, তবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যথেষ্ট বিপাকে পড়তে পারে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। রাজবংশী জনজাতি অধ্যুষিত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে যথেষ্ট বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে তাদের আন্দোলনের ফলে।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!