এবার এই ভোটেও মুখ থুবড়ে পড়লো শাসকদল, বড়সড় সাফল্য বিরোধীদের জাতীয় December 26, 2019 একের পর এক বিধানসভা নির্বাচন, উপনির্বাচন ইত্যাদিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির পরাজয়ের পর এবার ছত্তিশগড়ের পুরভোটেও এগিয়ে রইল শাসক দল কংগ্রেস। সদ্য শেষ হয়েছে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোট। সেখানেও বিজেপিকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে জোট সরকার। এবার একই ধারা বজায় রেখে ছত্তিশগড়েও কংগ্রেস এগিয়ে রইল। সারাদেশে একের পর এক হারের ফলে বিজেপির অন্দরে শুরু হয়ে গেছে তীব্র চাপানউতোর। কি কারণে লোকসভা ভোটে দিল্লীর মসনদ দখল করার পরেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি পিছিয়ে পড়ছে, তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। ছত্তিশগড়ের 151 টি পুরসভার ভোটে ঘোষিত 2032 টি ওয়ার্ডের মধ্যে কংগ্রেস জিতেছে 923 টি ওয়ার্ড। বিজেপি জিতেছে 814 টি ওয়ার্ড। এছাড়াও অজিত যোগীর দল জনতা কংগ্রেস ছত্তীসগঢ় (জে) 17 টি এবং নির্দল প্রার্থীরা 278 টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করেছে। ইতিমধ্যে আরও 799 টি ওয়ার্ডে গণনা চলছে। তবে খবর পাওয়া গেছে রায়পুর পুরসভার 70 টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি তেইশটি এবং কংগ্রেস 22 টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করেছে। গত 21 ডিসেম্বর ছত্তিশগড়ের পুরভোট সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার এই পুরভোটের গণনা শুরু হয়। এ প্রসঙ্গে এক নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন,”ছ’টি ওয়ার্ডে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন। তিনটি ওয়ার্ডে বিরোধী পক্ষের মনোনয়নই জমা পড়েনি। দু’টি ওয়ার্ডে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আর একটি কেন্দ্রে এক জন প্রার্থীর মৃত্যুর জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - খুব স্বাভাবিকভাবেই এই জয়ে অত্যন্ত খুশি হয়েছে কংগ্রেস। এ প্রসঙ্গে ছত্রিশগড় কংগ্রেসের মুখপাত্র শৈলেশ নিতিন ত্রিবেদী বলেন, ”ভোটের ফলে এটা স্পষ্ট যে বিজেপির থেকে বেশি ওয়ার্ডে জিতেছে কংগ্রেস। যে ওয়ার্ডগুলিতে গণনা চলছে, সেগুলিতেও এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস।” অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির প্রধান বিক্রম উসেন্ডি দাবি জানিয়েছেন, গত এক বছরে ভূপেশ বাঘেল সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে। তবে ছত্তিশগড়ের পুরসভা ভোটে কংগ্রেসের জয়, দলে অক্সিজেনের যোগান দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আগামীদিনের ভোটের নিরিখে এই জয় অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিজেপি শিবিরে এই পুরভোট নিয়ে ইতিমধ্যে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। বিজেপির বিভিন্ন মহলে একের পর এক নির্বাচনে হারার ফলে মনোবল তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকগণ। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামী দিনে কোন দল বাজিমাত করতে চলেছে, সেদিকে লক্ষ্য রাখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -