এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার কমিশনের প্রশ্নের মুখে বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা, বিতর্ক তুঙ্গে

এবার কমিশনের প্রশ্নের মুখে বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা, বিতর্ক তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জন্য বড়োসড়ো শাস্তিমুলক পদক্ষেপ নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল নেত্রীকে একদিনের জন্য প্রচার পর্ব থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল শীতলকুচি ঘটনার পেছনে তাঁর উস্কানিমূলক মন্তব্য যথেষ্ট কাজ করেছে। প্রসঙ্গত তৃণমূল নেত্রীর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার মন্তব্য ঘিরে জোরদার সমালোচনা হয়েছিল। আর মুখ্যমন্ত্রীর পর আজকে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের ওপরেও একের পর এক শাস্তির কোপ নেমে আসছে।

প্রথমেই হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহার ওপর নির্বাচন কমিশন শাস্তি ঘোষণা করে বলে দিয়েছে, আগামী 48 ঘন্টা আর প্রচারে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তিনি অর্থাৎ এবারের নির্বাচনে কার্যত রাহুল সিনহার প্রচারে দাঁড়ি। রাহুল সিনহার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বিতর্কিতভাবে বলেন, চার জনের জায়গায় 8 জনের মৃত্যু হলে ভালো হতো।

 খুব স্বাভাবিকভাবেই রাহুল সিনহার এই মন্তব্য মেনে নিতে পারেনি রাজ্যের সুশীল সমাজ। পাশাপাশি এবার মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় নির্বাচন কমিশন শুভেন্দু অধিকারীকে সতর্ক করেছে। আগেই কমিশন এ ব্যাপারে একটি নোটিশ ধরিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে।সেই অনুযায়ী কমিশনকে যে উত্তর দেন শুভেন্দু অধিকারী, তা আদৌ খুশি করতে পারেনি নির্বাচন কমিশনকে। আর তাই শুভেন্দু অধিকারীকে কমিশনের নির্দেশ নির্বাচনী আচরণবিধি চলাকালীন শুভেন্দু অধিকারী এধরনের মন্তব্য করতে পারবেনা।

 প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম পর্বে শুভেন্দু অধিকারী বারংবার তৃণমূল নেত্রীকে বেগম বলে সম্বোধন করেছেন এবং তিনি তাঁর রাজনৈতিক ভাষ্যের মধ্যে দিয়েও বুঝিয়েছেন, মেরুকরণই হচ্ছে তাঁর প্রধান তাস। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থেকে একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছেন এবং বলেছেন, নন্দীগ্রামের কথা ভাবছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দিকে নজর রেখে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুভেন্দু অধিকারী কখনও বেগম কখনো মমতাজ বলে সম্বোধন করেছেন তৃণমূল সুপ্রীমোকে। কমিশনের জবাবে শুভেন্দু অধিকারী উত্তরে জানিয়েছিলেন, তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী। কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে চাননি। ভোটের জন্য তিনি কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িকতার আশ্রয় নেননি। যদিও বলাইবাহুল্য, কমিশন তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট হয়নি। তবে কমিশন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়নি, শুধুমাত্র তাঁকে সতর্ক করে এবারের মত ছাড়া হচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপির অন্যান্য নেতারা এবার কমিশনের প্রশ্নের মুখে পড়ছেন।

শীতলকুচি মন্তব্যের জন্য যেরকম রাহুল সিনহাকে আগামী দু’দিনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ঠিক সেরকমই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছেও শীতলকুচি সংক্রান্ত মন্তব্যের জন্য কমিশনের তরফ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গতকাল দিলীপ ঘোষ সর্বসম্মুখে শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পরিষ্কার হুঁশিয়ারি দেন, পরবর্তীতে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে। খুব স্বাভাবিকভাবে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য ঝড় তুলেছিল রাজ্য রাজনীতিতে। আপাতত কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দিলীপ ঘোষ যদি সঠিক উত্তর না দেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

শুধু দিলীপ ঘোষই নন, সায়ন্তন বসুও শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কসূচক মন্তব্য করেছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কোন রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বেশ কিছুদিন যাবৎ তৃনমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, নির্বাচন কমিশন মূলত গেরুয়া শিবিরের পক্ষে কাজ করে চলেছে। একই অভিযোগ ছিল তাঁদের কেন্দ্রীয় বাহিনী বিরুদ্ধেও। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের প্রতিও যেভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে তাতে তৃণমূলের অভিযোগ কিন্তু আর ধোপে টিকছে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেদিকে অজর রয়েছে ওয়াকিবহাল মহলের।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!