এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার করোনা ভ্যাকসিন নিয়েও জালিয়াতি কলকাতার বুকে, সামনে এল ভুয়ো আমলার কাহিনী

এবার করোনা ভ্যাকসিন নিয়েও জালিয়াতি কলকাতার বুকে, সামনে এল ভুয়ো আমলার কাহিনী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টকরোনা অতিমারি সামলাতে যখন ভ্যাকসিন নিয়ে রীতিমতো যুদ্ধ চলছে, ঠিক সেসময় কলকাতার বুকে ভ্যাকসিন জালিয়াতির শিকার হলেন খোদ তৃণমূল সাংসদ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, একজন তৃণমূল সাংসদকে যখন জালিয়াতির শিকার হতে হচ্ছে, তখন সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে?

প্রসঙ্গত জানা গিয়েছে, কসবা অঞ্চলে 107 নম্বর ওয়ার্ডে একটি টিকাকরণ শিবির চলছিল। এই শিবিরে যাদবপুরের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। এবং এরপরেই জানা যায়, কলকাতা পুরসভার অনুমতি ছাড়া ওই এলাকার টিকাকরণ কর্মসূচি চলছিল। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়েছে।

এই ঘটনায় জড়িত হয়েছেন এক আমলা, যিনি আবার আরেক জালিয়াত বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত জানা যায়, গতকাল মিমি চক্রবর্তী টিকা নেবার পর তাঁর মোবাইলে কোন মেসেজ আসেনা। আর সেখান থেকেই সন্দেহ করেন যাদবপুরের সাংসদ। তিনি এরপর সোজা টিকাকরণ ক্যাম্পে যান এবং রীতিমতন সার্টিফিকেটের দাবি করেন। সে সময় তাঁকে বলা হয়, তিন চারদিন পর ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে। তখনই মিমির সন্দেহ আরো জোড়ালো হয়। এরপর মিমি চক্রবর্তী পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই এলাকার ভ্যাক্সিনেশন বন্ধ করান প্রথমে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর পুলিশ তদন্ত করে  দেবাঞ্জন দেব নামক এক আমলাকে ধরে, যিনি নিজেকে কলকাতা পুরসভার যুগ্ম-কমিশনার বলে দাবি করেন। তাঁকে পুলিশ জেরা করতে যখন যায়, তখন ঐ ব্যক্তি তাঁর বয়স 28 বছর বলে জানায়। এবং তারপর এই ব্যক্তি যে ভুয়ো তা নিয়ে আর কোনো সন্দেহ থাকেনা। কারণ 28 বছর বয়স্ক কোন ব্যক্তি কলকাতা পুরসভার যুগ্ম-কমিশনার হতে পারেনা। ঐ ভুয়ো ব্যক্তিকে আটক করা হয় এবং তারপরেই আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, এই দেবাঞ্জন দেব ভুয়ো পরিচয় দিয়ে টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করেছিল।

অন্যদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কলকাতা পুরসভার প্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কড়া ভাষায় জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে যদি কলকাতা পুরসভার কোনো কর্মীর যোগসুত্র পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা সামনে আসায় শুধু মিমি চক্রবর্তী নন, এলাকার মানুষ যারা টিকা নিয়েছেন তাঁরাও চরম উদ্বেগে। প্রশ্ন উঠেছে, এতদিন টিকার নাম করে তাহলে তাঁদের শরীরে কি দেওয়া হচ্ছিল? তবে এই ঘটনা নিয়ে বিরোধীরাও কোমর বাঁধতে শুরু করেছে রাজ্য সরকারের বিরোধীতায়। আপাতত পুলিশের তদন্তে আর নতুন কি তথ্য উঠে আসে, সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!