এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > এবার করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করেও কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর

এবার করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করেও কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর


করোনাভাইরাস আতঙ্কে ভীত পুরো এশিয়া। ইতিমধ্যেই চীনে প্রায় মহামারীর রূপ নিয়েছে করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে পৃথিবীর বারোটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই করোনাভাইরাস। ফলে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর এবার করোনাভাইরাস এর জের দেখা গেল ভারতবর্ষের রাজনীতিতে। সম্প্রতি করোনাভাইরাস নিয়ে রাজ্যের প্রধানমন্ত্রীও আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন। আর তাই নিয়ে এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরের মতো কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধেই মুখ খুললেন। সম্প্রতি ঘটে গেছে দিল্লিতে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হিংসা। আর সে ব্যাপারেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুর চড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনাভাইরাস নিয়ে যথেষ্ট আতঙ্কিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মোদী ইতিমধ্যে জানিয়েছেন টুইট করে যে তিনি এবছর হোলি মিলান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না। কারণ হিসেবে তিনি করোনাভাইরাসকেই দায়ী করেছেন। করোনা ভাইরাসের জীবাণু যাতে প্রাদুর্ভাব ছড়াতে না পারে তার জন্যই জনসমাগম কমানোর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর হোলি মিলানে না যাবার সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদি একটি টুইট করেছেন সম্প্রতি। যেখানে তিনি বলেছেন, “বিশ্বজুড়ে বিশেষজ্ঞরা করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রুখতে জন সমাগম হ্রাস করার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই, এই বছর আমি কোনও হোলি মিলান অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তবে জানা গেছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী নন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এবছরের হোলি মিলান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন। আর এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন।

তিনি দাবি করেছেন, করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে দিল্লির সাম্প্রদায়িক হিংসার দিক থেকে মানুষের মুখ ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “দিল্লিতে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের কারোর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়নি। কারোর ডেঙ্গিতেও মৃত্যু হয়নি। দিল্লির হিংসা থেকে নজর ঘোরাতেই করোনা-করোনা করা হচ্ছে।” এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুনিয়াদপুরের সভা থেকেই সরাসরি কেন্দ্রকে দিল্লি হিংসা নিয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে বলেন, “দিল্লিতে মৃতদেহের পাহাড় পাওয়া যাচ্ছে। এখনও ৭০০ মানুষ নিখোঁজ। অনেক মৃতদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপরই তিনি দিল্লি হিংসার প্রাণহানি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জবাব চেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যারা মারা গিয়েছে, তারা হিন্দু না মুসলিম, জবাব দিতে হবে ওদেরকে।” এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারকে রীতিমতো কটাক্ষ করে বলেন, “দিল্লির মতো ছোটো জায়গায় যারা আইন-শৃঙ্খলা সামলাতে পারেন না, তাদের বাংলা নিয়ে কথা বলা সাজে না।” অন্যদিকে, এদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে বুনিয়াদপুরের সভা থেকে পশ্চিমবাংলার মানুষকে করোনাভাইরাস নিয়ে সাবধান করেন।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বাংলার মানুষকে অযথা করোনা নিয়ে আতঙ্কে ভুগতে মানা করেন। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, এই মুহূর্তে ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার করোনা ভাইরাস এর দিকে মানুষের মনোযোগ ঘুরিয়ে দিল্লি সাম্প্রদায়িক  হিংসার কথা ভুলিয়ে দিতে চাইছে। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী আবেদন জানিয়েছেন, যাতে খুব দ্রুত করোনাভাইরাস এর মোকাবিলায় কোন প্রতিষেধক বের হয়। উল্লেখ্য, এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন ভারতবর্ষে ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন 25 জন।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম ঘটনাটি নজরে আসে চীনের ইউহান প্রদেশে। এরপর চীনের অন্যান্য প্রদেশের সাথে সাথে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে ক্রমাগত এই ভাইরাসটি। সম্প্রতি ভারতের দক্ষিণে এই করোনাভাইরাস আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি দিল্লিতেও আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে বলে খবর। তবে এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রবল বেগে গুজব ছড়াচ্ছে বেশি বলে দাবি করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রক। অন্যদিকে, করোনাভাইরাস আক্রান্তদের সঠিকভাবে চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। আপাতত এই মারণ ভাইরাসকে আটকানোর জন্য বিজ্ঞানীরা দিনরাত এক করে খুঁজে চলেছেন প্রতিষেধক। তবে ততদিন পর্যন্ত এই মারণ ভাইরাসকে কি করে আটকানো যায় সেদিকেই নজর রয়েছে সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!