প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এই দশকের রাজনীতির অন্যতম বড় বিস্ময় বলা যায় বাবুল সুপ্রিয়র মত দাপুটে বিজেপি নেতার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান। একসময় তিনি বারবার বিষেদাগার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর এমন দলবদল বিস্মিত করে দিয়েছে রাজনীতি মহলকে। এখন প্রশ্ন উঠেছে শিবির বদলের পর এবার কি রাজ্য মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন বাবুল সুপ্রিয়? এবার এ প্রসঙ্গে বিশেষ বক্তব্য রেখেছেন তিনি।

তৃণমূলে যোগ দেবার পর বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছিলেন যে, শীর্ষ একাদশে থাকতে চান। একাদশ ছেড়ে কোন ছোট টিমের হয়ে তিনি খেলতে চান না। বিজেপিতে সেই সুযোগ হাতছাড়া, সুযোগ দিয়েছে তাঁকে তৃণমূল। তাই তৃণমূলকে তিনি ধন্যবাদ জানাতে চান। অনেকেই থেকে প্রশ্ন করেছেন যে, এবার কি তবে, রাজ্যের মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন তিনি? এ প্রসঙ্গে বাবুল সুপ্রিয় জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী যা বলবেন, সেটাই তিনি করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সে সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন। তিনি হলেন দলের একজন অনুগত সৈনিক। বাংলার জন্য তিনি কাজ করতে চান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার উন্নয়ন পরিকল্পনাতে তাঁকে নেওয়ায় তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ তিনি।

বাবুল সুপ্রিয় আরও জানালেন যে, বিজেপিতে যখন তিনি ছিলেন, তখন তৃণমূল সম্পর্কে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে শ্রুতিমধুর কিছু বলেননি তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিসম্বাদ আদালতের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু সে সমস্ত এখন অতীত। এত রাজনৈতিক আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ হবার পরও যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বাংলার কাজের জন্য যোগ্য মনে করেছেন, তাতে তিনি কৃতজ্ঞ বোধ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে যে দায়িত্ব দেবেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন যেভাবে তিনি দায়িত্ব পালন করতেন, এবারও তার অন্যথা করবেন না তিনি।

বাবুল সুপ্রিয়র এই বক্তব্য জল্পনা তীব্র করে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যা থেকে অনেকেই মনে করছেন যে, এবার রাজ্য বিধানসভায় স্থান পেতে পারেন বাবুল সুপ্রিয়। ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর ছাড়াও আরও চারটি কেন্দ্রে বাকি রয়েছে উপনির্বাচন। এই কেন্দ্র গুলির মধ্যে কোন একটি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে পারেন বাবুল সুপ্রিয়। আর রাজ্যের মন্ত্রী সভায় পেতে পারেন স্থান। আর যা গেরুয়া শিবিরের কাছে হতে পারে এক বিরাট ধাক্কা।