এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > এবার এই হেভিওয়েটকেই কি প্রদেশ সভাপতি করতে চলেছে হাইকম্যান্ড? বিরোধে সোচ্চার আরেক হেভিওয়েট!

এবার এই হেভিওয়েটকেই কি প্রদেশ সভাপতি করতে চলেছে হাইকম্যান্ড? বিরোধে সোচ্চার আরেক হেভিওয়েট!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে এবার কি পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে বদলাতে চলেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড? বিশেষ সূত্র মারফত খবর, পাঞ্জাবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব পেতে পারেন নভজ্যো সিং সিধু। কিন্তু এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই তার চরম বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। যেখানে কিছুদিন আগেই তাকে আক্রমণ করে একাধিক বিতর্কিত টুইট করেছিলেন এই নভজ্যোত সিং সিধু। তাই তাকে যদি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়, তাহলে তার যে কিছুটা হলেও আপত্তি থাকবে, তা জানিয়ে দিয়েছেন অমরিন্দর সিংহ।

তবে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে নিজের আপত্তির কথা জানানোর পাশাপাশি তার বিতর্কিত করবার জন্য সিধুকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে বদল আনা নিয়ে অমরিন্দর সিংহের এই শর্তকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত চাপে পড়ে গিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই সিধুকে পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে বসানো নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তার বৈঠককে কেন্দ্র করে সেই জল্পনা আরও বাড়তে শুরু করে।

তবে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহের সঙ্গে তার ব্যাপক দূরত্ব তৈরি হয়। তাই তিনি শেষ পর্যন্ত সিধুকে মানবেন কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল চাঞ্চল্য। অবশেষে হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াত সেই সিধুকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করার ব্যাপারে ইঙ্গিত দেওয়ার পরেই তাকে পাল্টা শর্ত দিয়েছেন অমরিন্দর সিং। যেখানে তার সঙ্গে সিধুর ব্যাপক দূরত্ব চলছে, সেখানে দল যদি তাকে প্রদেশ সভাপতি করে, তাহলে সিধুকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ অতীতের টুইটের কথা তুলে ধরে অমরিন্দর সিং পাল্টা কৌশল দিয়ে সিধুকে চাপে ফেলার চেষ্টা করলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেদিক থেকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে বসতে গিয়ে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবে কতটা রাজি হবেন নবজ্যোত সিং সিধু, তা অবশ্যই লক্ষণীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে। পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, যদি শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস হাইকমান্ডের মধ্যস্থতার জেরে মুখ্যমন্ত্রী এবং হবু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মধ্যে সমস্ত রকম বনিবনা মিটেও যায়, তবুও পরবর্তীতে কংগ্রেসের সংগঠনে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হতে পারে। কেননা এই সিধুর সঙ্গে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়।

সেদিক থেকে বর্তমানে সংগঠনের সভাপতি হওয়ার জন্য হয়ত বা অমরিন্দর সিংয়ের শর্ত মেনে নিতে পারেন সিধু। এক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করতে পারে কংগ্রেস হাইকমান্ড। কিন্তু দলীয় সংগঠনের মাথায় বসার পরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সিধুর আবার বিবাদ প্রকাশ্যে চলে আসতে পারে। যা সামাল দিতে আরও অসুবিধার মুখে পড়তে হতে পারে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে। তাই এখন থেকেই পাঞ্জাব নিয়ে সমস্ত সমস্যা যাতে মেটানো যায়, তার দিকে উদ্যত হয়েছে কংগ্রেস। শেষ পর্যন্ত গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবে কতটা রাজি হন সিধু এবং তার ফলে কোন দিকে এগোয় পাঞ্জাবের কংগ্রেসের সংগঠন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!