এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার এই ইস্যুতে রাজ্যের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিতে পারেন রাজ্যপাল, বাড়ছে জল্পনা!

এবার এই ইস্যুতে রাজ্যের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিতে পারেন রাজ্যপাল, বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান পদে শপথ নিয়েছিলেন জাগদীপ ধনকার। নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের তিনি যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বৃত্তের, তা পরবর্তীতে তার নানা পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে কার্যত পরিষ্কার হয়ে যায়। দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের আমল থেকেই দায়িত্ব নেওয়ার পর শিক্ষা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, আইন-শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন বিষয়ে এমন কিছু মন্তব্য করেন রাজ্যপাল, যা শাসকদলের কাছে যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আর তৃতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে শুরু করে। হিংসার ঘটনা নিয়ে যখন আইন-শৃংখলার প্রসঙ্গে উষ্মা প্রকাশ করছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। আর এবার শিক্ষা নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হতে পারে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সম্পর্কে বলেই মনে করা হচ্ছে।

বস্তুত, রাজ্যপালের অনুমোদন না নিয়ে প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধি করে দেয় রাজ্য সরকার। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যপাল এই ব্যাপারে অনুমোদন না দিলেও, কিভাবে রাজ্য সরকার তা বৃদ্ধি করল, এখন তা নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতে পারে রাজভবন। যাকে কেন্দ্র করে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজই প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালের কাছে আগেভাগেই আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো অনুমোদন আসেনি। তাই দুই বছরের জন্য প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ বৃদ্ধি করার কথা জানিয়ে দেয় রাজ্য সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যেখানে প্রতিটি বিষয়ে রাজ্যপাল রাজ্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, সেখানে শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলেও, নিয়মানুযায়ী আচার্য থাকা রাজ্যপালের অনুমোদন কেন নেওয়া হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিতে পারে রাজভবন। আর যদি এই ঘটনা ঘটে তাহলে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সম্পর্কে তিক্ততা বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, এই ব্যাপারে রাজ্যপালের মুখ খোলা শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে একাংশ আবার বলছেন, রাজ্যপাল এই ব্যাপারে মুখ খুললেও কিছু করার নেই। কেননা তিনি আচার্য হতে পারেন। কিন্তু তার কাছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করে অনেকদিন আগেই অনুমোদন চেয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজভবনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।

স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যপাল যদি এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, তাহলে তো রাজ্য সরকার চুপ করে বসে থাকতে পারে না। তাই সরকার নিজেদের ইচ্ছা অনুসারে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধি করেছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে যে যুক্তিই দেওয়া হোক না কেন, আচার্য হিসেবে রাজ্যপাল যে এর ঘোর বিরোধী মনোভাব প্রকাশ করবেন, তা একপ্রকার পরিষ্কার। স্বভাবতই সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ বৃদ্ধিতে রাজভবন কি প্রতিক্রিয়া দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!