প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2014 সালে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আসার পর থেকেই বিরোধী দলগুলোকে ভাঙ্গন ধরতে শুরু করে। একের পর এক নেতা যোগ দিতে শুরু করেন শাসক শিবিরে। আর এবার রাজ্যসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বোড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের নেতা তথা সাংসদ বিশ্বজিৎ দৈমারি। সূত্রের খবর, এদিন এই সাংসদ নয়াদিল্লিতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু কাছে তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন।

তবে শুধু বিপিএফের সঙ্গ ত্যাগ করাই নয়, জানা যাচ্ছে, আগামীকাল তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় বিজেপি যে অনেকটাই উজ্জীবিত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বস্তুত, প্রায় তিন দিন আগে বিপিএফের সঙ্গ ত্যাগ করে দল থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দৈমারি। আর আর তারপর থেকেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে এবার পাকাপাকিভাবে এতে তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন, আর তা যে শুধু সময়ের অপেক্ষা, তা কার্যত স্পষ্ট।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকালই এই ব্যাপারে বিজেপির একাধিক নেতৃত্বের উপস্থিতে নয়াদিল্লিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। যেখানে বিশ্বজিৎ দৈমারিকে দলে নেওয়া হবে কিনা, তার ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছিল। তবে বৈঠক শেষে সেই বিশ্বজিৎবাবুকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে সীলমোহর দিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব। আর তার পরেই তিনি রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তার বিজেপিতে যাওয়ার রাস্তা আরও সুদৃঢ় করলেন বলে মনে করছেন একাংশ।

জানা গেছে, সোমবার বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ সইকিয়া, অসমের বিজেপি সভাপতি, মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল সহ একাধিক নেতৃত্বের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেবেন বিশ্বজিৎ দৈমারি। আর যেভাবে হেভিওয়েট এই সাংসদ বিপিএফ ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন, তাতে এই রাজনৈতিক দল অনেকটাই চাপে পড়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পাশাপাশি এর ফলে এলাকার রাজনৈতিক সমীকরণ অনেকটাই পাল্টে যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, পরিস্থিতি যদি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে বিজেপি সারাদেশে তাদের দাপট আরও বাড়াতে অনেকটাই সক্ষম হবে। স্বভাবতই এখন হেভিওয়েট সাংসদ তার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে কত দ্রুত বিজেপিতে যোগদান করেন এবং তারপরে তার রণকৌশল কি হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।