প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ ক্লাব কমিটির গঠন ঘিরে। একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর উঠে আসছে বাংলার রাজনীতিতে। আর সে জায়গায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে বাংলার দুটি যুযুধান রাজনৈতিক শিবির তৃণমূল এবং বিজেপি। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের তপনে তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু যেটা সবথেকে বেশি উল্লেখযোগ্য, তা হল বিজেপির যুব মোর্চার জেলা পরিষদের 12 নম্বর মণ্ডলের সহ-সভাপতিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ আর তাই নিয়েই শুরু হয় হাঙ্গামা।

তবে বাংলার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায় এই 12 নম্বর মণ্ডলের সহ-সভাপতির নাম নিয়ে। ধৃত বিজেপি নেতার নাম মুকুল সাহা, আর এখান থেকেই শুরু হয় বিভ্রান্তি। জানা গেছে, ধৃত বিজেপি নেতা মুকুল সাহার বাড়ি তপন থানার দাঁড়ালহাট এলাকায়। ধৃত বিজেপি নেতাকে বালুরঘাট জেলা আদালতে নিয়ে গেলে তিনি জামিনে মুক্তি পান বলে খবর। তবে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তপন থানার সামনে বিজেপি যুব মোর্চা থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়।

এ প্রসঙ্গে বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সাধারণ সম্পাদক বিভাস সরকার জানান, বিজেপি নেতা মুকুল সাহাকে মিথ্যে মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার করতে এসে পুলিশ তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে সে কথাও বলেন তিনি। অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি জানিয়েছেন, এই ঘটনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই ঘটনা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়ার জন্য তপন থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করার বহু চেষ্টা হলেও করা যায়নি। অন্যদিকে জেলা পুলিশ সুপার দেবকী দত্ত ঘটনাটি সম্পর্কে খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন।

স্হানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপূজা মিটিং ঘিরে শুরু হয় গন্ডগোল এবং তার জেরেই হাতাহাতি শুরু হয় তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। আর সেই সূত্রেই বিজেপি নেতা মুকুল সাহার নামে তপন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে,সময় যত যাবে ততই রাজনৈতিক হানাহানি বেড়ে উঠবে বাংলায়। কারণ, সামনেই আসছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন‌। আর এই বিধানসভা নির্বাচন জিততে বাংলার প্রতিটি রাজনৈতিক দল এই মুহূর্তে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। আর সে ক্ষেত্রে দুই বিরোধীদলের হানাহানি কোনো অস্বাভাবিক ব্যাপার নয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।