এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার হেভিওয়েট বিজেপি নেত্রীর রোড শোয়ে হামলা, জখম একাধিক বিজেপি কর্মী, অভিযোগ তৃণমূলের দিকে

এবার হেভিওয়েট বিজেপি নেত্রীর রোড শোয়ে হামলা, জখম একাধিক বিজেপি কর্মী, অভিযোগ তৃণমূলের দিকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দুদিন পরে শুরু হতে চলেছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। এরপর বাকি থাকবে আরও দুই দফা। আর সেই দুই দফার মধ্যে হতে চলেছে বীরভূমের নির্বাচন। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন থেকে বীরভূমের পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে প্রশাসনিক বদল করেছে আজকেই। বীরভূমের পুলিশ সুপার হিসেবে আজকেই দায়িত্ব পেয়েছেন, নন্দীগ্রামে ভোটের দায়িত্বে থাকা নগেন্দ্র ত্রিপাঠী। তাই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনাও কম হচ্ছেনা। তবে নগেন্দ্র ত্রিপাঠী বীরভূমে গেলেও পরিস্থিতি যে খুব একটা বদল হচ্ছেনা, তা বোঝা গেল সন্ধ্যের ঘটনাতেই। এদিন বীরভূমে বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

এবং বিজেপির পক্ষ থেকে এই হামলার দায়ভার তৃণমূলের ওপর চাপানো হয়েছে। এদিন বীরভূমের হাঁসন বিধানসভা কেন্দ্রের মাড়গ্রামে যখন যেতে চান ভারতী ঘোষ, সেসময় ভারতী ঘোষের গাড়ি আটকে গোব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। একইসাথে অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের মারধোর করার। ভারতী ঘোষের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে আরও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ভারতী ঘোষ অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন ওই এলাকাতে। বিজেপি সূত্রের খবর, এদিন মাড়গ্রাম কেন্দ্রের প্রার্থী নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে একটি রোড শো করেন দলের রাজ্য সহ-সভানেত্রী ভারতী ঘোষ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

হাতিবাঁধা মোড় থেকে শুরু হয় এই রোডশো। ধুলফেলা মোড়ে শেষ হবার কথা ছিল এই রোড শো। জানা গিয়েছে, ভারতী ঘোষ যখন ধুলফেলা মোড়ে পৌঁছান সন্ধেবেলা, সেসময় এলাকার স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয় থেকে বেশ কয়েকজন বেরিয়ে আসে ভারতী ঘোষের দিকে কালো পতাকা দেখায় এবং গো ব্যাক স্লোগান দেয়। পাশাপাশি বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর ব্যাপকভাবে আক্রমণ শুরু হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় একাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থক জখম হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে বিজেপির তরফ থেকে। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহলে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের দিকেও প্রশ্ন উঠেছে। যে হিংসাত্মক পরিস্থিতি আটকাতে আজকেই বীরভূম জেলার প্রশাসনিক বদল করা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে, সেই পরিবর্তনের কিছুক্ষণের মধ্যেই এত বড় ঘটনা কীভাবে ঘটল তা নিয়ে কথা উঠেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সব মিলিয়ে বিজেপি নেত্রীর ওপর আক্রমণের এই ঘটনা যে আগামী কয়েকদিন ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করবে সে কথা বলাইবাহুল্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!