এবার আইপ্যাকের কর্মীদের হেনস্থায় বিজেপির বিরুদ্ধে সুর মিলে গেল বাম এবং তৃণমূলের জাতীয় তৃণমূল বামফ্রন্ট রাজনীতি July 29, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হবার পর থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূলের সংগঠন বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের পাশের রাজ্য ত্রিপুরা তৃণমূলের অন্যতম লক্ষ্য। দীর্ঘদিন ধরেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠন ধীরে ধীরে তৈরী হচ্ছে। অন্যদিকে 2023 এ ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সেখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আইপ্যাকের 23 জন সদস্য গিয়েছিলেন সম্প্রতি। কিন্তু তাঁরা সেখানে গিয়েই বিপ্লব দেব সরকারের পুলিশের হাতে আটক হন। কার্যত তাঁদের নজরবন্দি করে রাখা হয় হোটেলে। আর এই নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর মিলে গেল তৃণমূল এবং বামেদের। আইপ্যাক কর্মীদের ছাড়ানোর জন্য ত্রিপুরা রাজ্যে পা দিয়েছেন তিন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁরা সেখানে গিয়ে আইপ্যাকের কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। কার্যত এরপর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল নেতারা রীতিমতন ক্ষোভ উগরে দেন ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। এদিন ব্রাত্য বসু সাংবাদিকদের সামনে প্রশ্ন তুলেছেন, রাজনৈতিক সংগঠন না হওয়া সত্ত্বেও আইপ্যাকের 23 জন কর্মীকে ধরে রাখার পেছনে কি অন্যতম কারণ প্রশান্ত কিশোর? পাশাপাশি সার্বিক ভাবে তুলে ধরা হয়েছে তৃণমূলকে ভয় পেয়েই বিজেপি এ ধরনের কান্ড করছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে ত্রিপুরা সরকারের দাবি, করোনা বিধি না মানার কারণে আটক করা হয়েছে আইপ্যাকের কর্মীদের। তবে সবথেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ত্রিপুরার বর্তমান বিরোধী দলনেতা সিপিএমের মানিক সরকারও ঠিক একইভাবে আইপ্যাকের কর্মীদের আটক করা নিয়ে বিপ্লব দেব সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তিনিও সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, একটি দল সমীক্ষা চালাতে আসতেই পারে। সেক্ষেত্রে তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করে হোটেলে বন্দী করে রাখার কোনো কারণ নেই। কার্যত ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এর পরেই উল্লেখযোগ্যভাবে দাবি করেছেন বিপ্লব দেব সরকার ভয় পেয়েছে এবং সেখান থেকেই এই কাণ্ড করেছে তাঁরা। ঠিক একইভাবে বিজেপি বিরোধীতার ক্ষেত্রে বাম এবং তৃণমূলের কথা ত্রিপুরায় মিলে গেল, যা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলে বিশ্লেষণ করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে ত্রিপুরায় বামেদের জন্য আজকে ব্রাত্য বসু বার্তা দিয়ে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের বামেরা যে ভুল করেছিল সেই ভুল ত্রিপুরার বামপন্থীরা যাতে না করেন। কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ানোর কথাই তিনি বলেছেন। অন্যদিকে আগামীকাল ত্রিপুরা যাওয়ার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কার্যত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা যাওয়ার পর সেখানকার রাজনৈতিক সমীকরণে কোনো বদল আসে কিনা সে দিকেই লক্ষ্য বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -