এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার জালিয়াতির শিকার স্বয়ং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর! পুলিশে অভিযোগের পর কি হলো? জেনে নিন

এবার জালিয়াতির শিকার স্বয়ং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর! পুলিশে অভিযোগের পর কি হলো? জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষকে জালিয়াতির শিকার তো হতেই হয়। কিন্তু এবার জালিয়াতির শিকার হয়েছেন স্বয়ং এ রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সর্বস্তরে। প্রসঙ্গত জানা যাচ্ছে, এখন জগদীপ ধনকর এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে মাঝেমাঝেই র এর অফিসার হিসেবে দাবি করে একজন চিঠি লিখতেন। কিন্তু রাজ্যপালের প্রথম সন্দেহ হয় এবং তিনি হেয়ার স্ট্রীট থানায় অভিযোগ করেন। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে রবীন্দ্র সরোবর থেকে পেশায় চিকিৎসক মণিময় মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা যাচ্ছে, ধৃত মণিময় মন্ডল একজন চিকিৎসক। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি নিজেকে র এর অফিসার বলে পরিচয় দিতেন বিভিন্ন জায়গায়। এবং একই পরিচয়ে তিনি বিভিন্ন প্রভাবশালীদের চিঠি লিখতেন। আর এভাবেই এরকম চিঠি রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছেও পৌঁছায়। তারপরেই রাজ্যপাল সন্দেহ করেন এবং অভিযোগ দায়ের করা হয় রাজ্যপালের দপ্তর থেকে হেয়ার স্ট্রীট থানায়। অভিযোগ করার পর তদন্ত শুরু করে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেই তদন্ত করতে গিয়ে উঠে আসে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। কার্যত মণিময় মন্ডলের এক শাগরেদের খোঁজ পায় লালবাজার থানার তদন্তকারীরা। আর সন্দেহভাজনকে জেরা করে একের পর এক তথ্য পুলিশের হাতে আসে। অবশেষে বৃহস্পতিবার ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কার্যত ভুয়ো পরিচয়, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, জালিয়াতি এবং প্রতারণাসহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায়। শুক্রবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।

খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লেখার ফলে এরকম একটি গুরুতর ঘটনা রাজ্যপালের হাত ধরে সামনে এসেছে। কিন্তু এরকম জালিয়াতির ঘটনা একের পর এক ঘটে চলেছে শহরে। পুলিশের তরফ থেকে আবেদন করা হয়েছে, রাজ্যপালের মতন সচেতন নাগরিকের পরিচয় দিতে হবে প্রত্যেককে। অর্থাৎ কোনোরকম সন্দেহজনক ঘটনার সন্ধান পেলে সাথে সাথে নিকটবর্তী থানায় গিয়ে জানাতে হবে। তারপরেই পুলিশ এ ধরনের জালিয়াতি অপরাধীদের খুব সহজেই ধরতে পারবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!