এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > এবার কন্যাশ্রীর লক্ষাধিক টাকা গায়েব প্রতারকের হাত ধরে, শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত

এবার কন্যাশ্রীর লক্ষাধিক টাকা গায়েব প্রতারকের হাত ধরে, শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আবারও একটি প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ্যে এল রাজ্যে। বিগত বেশ কিছুদিন যাবৎ একাধিক প্রতারণা কান্ড ধরা পড়েছে। প্রতারকদের কেউ নিজের পরিচয় দিয়েছে আইআইএস ফিসার বলে, কেউ নিজের পরিচয় দিয়েছে পুলিশ কর্তার মেয়ে বলে। আর এসব কথায় বিশ্বাস করে ঠকে যান সাধারণ মানুষরা। কিন্তু এবার সাধারণ মানুষ নয়, ঠকতে হলো স্কুলকে। জানা গিয়েছে, পিতা-পুত্রের চক্রান্তে সরকারি কন্যাশ্রী প্রকল্পের লক্ষাধিক টাকা খোয়া গিয়েছে স্কুল থেকে।

সূত্রের খবর, দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগরে মজিলপুরের শ্যামসুন্দর বালিকা বিদ্যালয়ের কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রায় 8 লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রাক্তন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর সন্দীপ রায় এবং তাঁর বাবা অনুপ রায়। ঘটনাটি নজরে আসার সাথে সাথেই শ্যামসুন্দর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্বাগতা মন্ডল পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। অন্যদিকে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত সন্দীপ রায় এবং তাঁর বাবা অনুপ রায় দীর্ঘদিন ধরে এভাবে টাকা হাতিয়ে আসছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই পুলিশ তাঁদের দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একইসাথে জানা গিয়েছে, ধৃত সন্দীপ রায় কন্যাশ্রীর জন্য ছাত্রীদের নাম-ঠিকানা অ্যাকাউন্ট নম্বর বসানোর সময় নিজের অ্যাকাউন্ট নাম্বার বসিয়ে গেছেন একভাবে। কিছু কিছু জায়গায় আবার টাকা পাঠানোর জন্য পরিচিতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নাম্বার ব্যবহার করেছে সে। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে শ্যামসুন্দর বালিকা বিদ্যালয়ে কাজ করত যখন সন্দীপ রায়, তখনো সে বেশ কিছু গন্ডগোল করে।

যার জেরে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তার মধ্যে যেভাবে সে লক্ষাধিক টাকা গায়েব করেছে, তা নিয়ে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে কন্যাশ্রীর টাকা না পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রীরা ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। ক্ষোভের কারণ নিয়ে যখন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা খোঁজ নিতে শুরু করেন, তখনই আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত এই তদন্তের মাধ্যমে পুলিশের হাত দিয়ে অন্য কোন তথ্য সামনে আনে কিনা, সেদিকেই এখন নজর সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!