প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সঙ্গে ত্রিপুরাকেও এবার বড়োসড়ো উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ত্রিপুরার রাজনীতির অঙ্গনে সকলের প্রিয় দিদি প্রতিমা ভৌমিক এবার স্থান পেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। গত ১৯৯১ সাল থেকেই বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন তিনি। দলের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে তাঁর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। রাজ্যের একজন লড়াকু নেত্রী বলে পরিচিত তিনি। রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছেন, আর এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেন তিনি।

দিদির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ায় ত্রিপুরাবাসী যথেষ্ট আনন্দিত। বিধানসভা ভোটের আগে ত্রিপুরাবাসীকে বড়সড় উপহার দিয়ে তাঁদের মনজয় করতে সচেষ্ট হলেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। একদিকে রাজ্যবাসীকে সন্তুষ্ট করা, অন্যদিকে তেমনি উন্নয়নের বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী তাঁর এই পরিকল্পনার মাধ্যমে। অনেকে মনে করছেন, এর দ্বারা প্রধানমন্ত্রী বোঝাতে চাইলেন যে, ত্রিপুরার উন্নয়ন কেন্দ্রের অন্যতম লক্ষ। আবার অনেকে মনে করছেন, মন-প্রাণ দিয়ে দলের কাজ করলে, একদিন যে দল তার স্বীকৃতি দেবে, তার সুফল পাওয়া যাবে, প্রতিমা ভৌমিককে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়ে সেকথা বোঝালেন প্রধানমন্ত্রী।

তাঁকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়ে দলের বেসূরোদেরও একটা বড়সড় ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাও মনে করছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। দলের বিরোধিতা নয়, দলের প্রতি আনুগত্য যে দল দল আশা করে, সে কথাই স্পষ্ট করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি, ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন ও তার অনুগামী সহ প্রায় ১৩ জন বিধায়ক ক্ষুব্দ প্রধানমন্ত্রী বিপ্লব দেবের প্রতি। একাধিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তাঁরা দল ছাড়তে পারেন, এমন একটা জল্পনা রয়েছে ত্রিপুরাতে।

এই পরিস্থিতিতে প্রতিমা ভৌমিককে মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়ে তাঁদেরকে বিশেষ বার্তা দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাও মনে করছেন অনেকে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের পর এবার ত্রিপুরা জয়ের দিকে লক্ষ্য রয়েছে তৃণমূলের। সেদিক থেকেও প্রতিমা ভৌমিককে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে, মনে করছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।